গেল বছর পরমাণু অস্ত্রে উত্তর কোরিয়ার ব্যয় ৬৪২ মিলিয়ন ডলার
পারমাণবিক কর্মসূচিতে গত বছর ৬৪২ মিলিয়ন (৬৪ কোটি) মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে উত্তর কোরিয়া। পরমাণু অস্ত্র ও পারমাণবিক কর্মসূচীবিরোধী কর্মীদের প্রকাশিত একটি রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বার্তা সংস্থাটি বলছে, পারমাণবিক কর্মসূচিতে উত্তর কোরিয়ার ব্যয়ের পরিমাণ বা দেশটির পরমাণু অস্ত্রের আকার সম্পর্কে কোনো নিশ্চিত তথ্য নেই। ২০০৬ সাল থেকে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি কমপক্ষে ছয়টি পারমাণবিক পরীক্ষা চালিয়েছে এবং ২০১৭ সালের পর গত পাঁচ বছরের মধ্যে প্রথম বারের মতো পুনরায় পরীক্ষা শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত বৈশ্বিক পারমাণবিক অস্ত্র ব্যয় সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদনে সুইজারল্যান্ডের জেনেভাভিত্তিক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার ওয়েপন (আইসিএএন) জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া তার মোট জাতীয় আয়ের (জিএনআই) প্রায় এক-তৃতীয়াংশ সামরিক ও পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর এবং সামরিক বাজেটের প্রায় ৬ শতাংশ পারমাণবিক অস্ত্রের ওপর খরচ করে থাকে বলে ধারণা করা হয়। আর এর ওপর ভিত্তি করেই পারমাণবিক কর্মসূচিতে দেশটির ব্যয়ের অনুমান করছে তারা।
রয়টার্স বলছে, আইসিএএন’র রিপোর্টে বিশ্বের পারমাণবিক শক্তিধর ৯টি দেশের এই খাতে ব্যয়ের ওপর হিসাব তুলে ধরা হয়েছে। এই ৯টি দেশের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচিতে উত্তর কোরিয়ার ব্যয়ই সবচেয়ে কম। এমনকি তালিকায় উত্তর কোরিয়ার ওপরে থাকা পাকিস্তানের তুলনায় কিম জং উনের দেশের পারমাণবিক কর্মসূচিতে খরচ প্রায় অর্ধেক। অর্থাৎ এই কর্মসূচিতে পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক ব্যয় করেছে উত্তর কোরিয়া।
অবশ্য পারমাণবিক অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নের জন্য উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে এই নিষেধাজ্ঞাকে আন্তর্জাতিক রূপ দিতেও বৈশ্বিক প্রচারণার নেতৃত্ব দেওয়া ওয়াশিংটন অবশ্য একই কারণে পিয়ংইয়ংয়ের সমালোচনাও করে আসছে।