গোটা ইতালির ৬ কোটি মানুষই কোয়ারেন্টাইনে
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে এবার গোটা দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে ইতালি। দেশটির ছয় কোটি মানুষকেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। জারি হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। পুরোপুরি এড়িয়ে চলতে হবে গণজমায়েত। থাকবে না কোনো খেলাধুলা বা বিনোদনের অনুষ্ঠান। স্কুল, কলেজও বন্ধ।
গতকাল একদিনেই এ ভাইরাসে দেশটিতে ৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার যেখানে মৃতের সংখ্যা ছিল ৩৬৬ জন, সোমবার তা বেড়ে ৪৬৩ জন হয়। আক্রান্ত ৯ হাজারেরও বেশি।
উৎপত্তিস্থল চীনের পর মরণঘাতী করোনাভাইরাস সবচেয়ে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ইতালিতে। বাণিজ্যিক রাজধানী মিলানসহ আরো অনেকগুরুত্বর্ণ এলাকাকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। আগেই অবরুদ্ধ রয়েছে এক কোটি ৬০ লাখ মানুষ। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী গুইসেপ্পে জনগণকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেন। আর জরুরি ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারি অনুমতি নিতে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে একদম সময় নেই। যারা আশঙ্কার মধ্যে রয়েছেন তাদেরকে বাঁচাতে এই সিদ্ধান্ত।’
ইতালির ২০টি প্রদেশেই করোনাভাইরাসের রোগী পাওয়া গেছে। প্রথমে লোম্বার্ডিসহ ১৪টি প্রদেশে ১ কোটি ৬০ লাখ মানুষকে কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিশ্বের ১০৯টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১১ হাজার ৫৪০ জন এবং মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ৮৮৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
চীনে ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা ২৩ জন বেড়ে ৩ হাজার ১২০ জনে দাঁড়িয়েছে। ইরানে মৃতের সংখ্যা ৪২ জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৭ জনে। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় ৫৩ জন, স্পেনে ২৬ জন, যুক্তরাষ্ট্রে ২২ জন হয়েছে।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ভাইরাসটির আঁতুড়ঘর চীন এই মহামারীর ফাঁড়া কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হচ্ছে। নতুন করে আক্রান্ত কমে আসায় উহানের অস্থায়ীভাবে খোলা হাসপাতালগুলো গুটিয়ে নেওয়া হচ্ছে।