ঘূর্ণিঝড় নানমাদোল : জাপানে ২০ লাখ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ের নির্দেশ
জাপানে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘নানমাদোল’। যার আঘাতে জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ব্যাপক সতর্কতা জারি করেছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ঘূর্ণিঝড়ের আঘাত থেকে বাঁচতে নজিরবিহীন সতর্কতা জারি করেছে জাপানের আবহাওয়া অফিস। প্রায় ২০ লাখ মানুষকে নিরাপদে আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সুপার টাইফুন নানমাদোল আজ রোববার কিউসু দ্বীপের কাগোসিমা অঞ্চল দিয়ে ভূখণ্ডে উঠে আসতে পারে। ওই সময়ে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ২৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে যেতে পারে এবং ২৪ ঘণ্টায় ৫০০ মিলিমিটার (২০ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসঙ্গে আকস্মিক বন্যা এবং ভূমিধসের আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
জাপানের আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস বিভাগের প্রধান রিয়ুতা কুরোরা নানমাদোলকে ‘মারাত্মক ঘূর্ণিঝড়’ আখ্যা দিয়ে বলেন, ব্যাপক ঝড়, জলোচ্ছাস, ঢেউয়ের পাশাপাশি রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।
২০১৮ সালের ঘূর্ণিঝড় জেবির চেয়েও মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে নানমাদোলের আঘাতে। জেবির আঘাতে ১৪ জন নিহত হয় এবং ২০১৯ সালের ঘূর্ণিঝড় হাগিবিস’র কারণে জাপানে ব্যাপক এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কিসুদার উপর দিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে জাপানের মধ্যাঞ্চল পেরিয়ে রাজধানী টোকিওর দিকে যাবে বলে ধারণা দেশটির আবহাওয়া অফিসের।