চতুর্থ স্ত্রীকে ১১ শব্দে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন মারডক
মিডিয়া টাইকুন রুপার্ট মারডক। চারবার বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন তিনি। তবে, থিতু হতে পারেননি কোনো সঙ্গীর সঙ্গে। গত বছরের জুনে সর্বশেষ চতুর্থ স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয় তার। তবে, এই মিডিয়া টাইকুন তার চতুর্থ স্ত্রীকে বিচ্ছেদের কথা জানিয়েছিলেন ১১ শব্দের একটি ইমেইলে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ তথ্য জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানায়, ২০১৬ সালে সাবেক সুপার মডেল জেরি হলকে বিয়ে করেন মারডক। বিয়ের ছয় বছরের মাথায় অর্থাৎ, ২০২২-এর জুনে তাদের বিচ্ছেদ হয়। জেরিকে মিডিয়া টাইকুন বিচ্ছেদের কথা জানান একটি ১১ শব্দের ইমেইলের মাধ্যমে।
ওই ইমেইলে স্ত্রী জেরিকে দুঃখপ্রকাশ করে মারডক যা লেখেন, তাতে বোঝাতে চান যে, তিনি সম্পর্কের ইতি টানতে চাচ্ছেন। তার নিউইয়র্কের আইনজীবী শিগগির জেরির সঙ্গে যোগাযোগ করবে।
যখন মেইলটি পাঠানো হয় তখন জেরি যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ডশায়ারের বাড়িতে তার স্বামী মারডকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় তিনি আকস্মিকভাবে ওই ইমেইলটি পান।
কয়েক দশক ধরে মারডকের ব্যবসা নিয়ে লিখে আসছেন সাংবাদিক গ্যাব্রিয়েল শেরম্যান। তার কাছে ওই মেইলেরে একটি কপি রয়েছে। গ্যাব্রিয়েল বলেন, ‘৬৬ বছর বয়সী জেরিকে পাঠানো মেইলটি আমি দেখেছি। এর তথ্য নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক শতবর্ষী ম্যাগাজিন ভেনিটি ফেয়ারে আমি একটি নিবন্ধ লিখেছি।’
গার্ডিয়ান বলছে, ঘোষণার মাসখানেক সময়ের মধ্যেই আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ হয় মারডক ও জেরির। তবে, তারা ভালো বন্ধুর সম্পর্ক রাখার কথা জানিয়েছিল। তবে, জেরির বন্ধুদের উদ্ধৃতি দিয়ে ওই ম্যাগাজিনে লেখা হয়, বিচ্ছেদের পর সাবেক সুপার মডেল অনেকটা পাগলের মতো আচরণ করেন। এমনকি, তিনি বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন।
ভেনিটি ফেয়ারের ওই নিবন্ধনে বলা হয়, গত ফেব্রুয়ারিতে জেরি তার বন্ধুদের বলেন, তিনি মারডকের মূর্তি তৈরি করেছেন। মূর্তিটির গলায় একটি রশি বেঁধে গ্রিলের সঙ্গে ঝুলিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছেন।