চীনা যন্ত্রাংশ ব্যবহারের কারণে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ বন্ধ করল পেন্টাগন
কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা আইন লঙ্ঘন করে স্টিল্থ ফাইটার জেট বিমানে চীনের তৈরি শংকর ধাতুর যন্ত্রাংশ ব্যবহারের বিষয়টি জানতে পেরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় লকহিড মার্টিন করপোরেশনের এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহ বন্ধের নির্দেশনা দিয়েছে। তবে পেন্টাগন জানিয়েছে শংকর ধাতুর তৈরি চুম্বকের এই যন্ত্রাংশ কোনো নিরাপত্তা ইস্যু তৈরি করছে না।
প্রতিরক্ষা বিভাগের মুখপাত্র রস গোয়েমারে এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত হয়েছি এই চুম্বকটি কোনো তথ্য পাঠাতে পারে না বা এটি এয়ারক্রাফ্টের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। এরসঙ্গে বিমানের কর্যকারিতা, মান বা নিরাপত্তা ঝুঁকির মতো বিষয়গুলো কোনো ইস্যু সৃষ্টি করছে না এবং বহরে থাকা এফ-৩৫ যুদ্ধ বিমানগুলোর স্বাভাবিকভাবেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে’।
এদিকে কোম্পানিটি নিজেদের উদ্যোগেই নীতি লঙ্ঘনের বিষয়টি রিপোর্ট করেছে আর কীভাবে ঘটনাটি ঘটলো সে বিষয়টি পর্যালোচনা করছে। তবে পেন্টাগন জানায়নি যে, ঠিক কতটি এয়ারক্রাফ্টের সরবরাহ দেরি হবে বা কয়টি যুদ্ধবিমানে এই শংকর ধাতুর যন্ত্রাংশ পাওয়া গেছে। কোম্পানিটির এ বছর ১৫৩টির মতো এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান সরবরাহের কথা রয়েছে যার মধ্যে ৮৮টি ইতোমধ্যে সরবরাহ করাও হয়েছে।
এফ-৩৫ হলো বিশ্বের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলোর একটি। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে এ ধরনের যুদ্ধবিমান আছে কয়েকশ, যার রয়েছে তিনটি ধরন। প্রচলিত উড্ডয়ন ও অবতরনের সুবিধা নিয়ে এফ-৩৫-এ যা দেশটির বিমান বাহিনী ব্যবহার করে আসছে, আড়াআড়ি অবতরনের সুবিধাসম্পন্ন নৌবাহিনীর বহরে থাকা এফ-৩৫-বি এবং এফ-৩৫-সি যা এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার অপারেশনে ব্যবহার হয়।
এদিকে লকহিড মার্টিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, তারা সাপ্লাই চেইনের আওতায় তাদের অংশীদারদের সঙ্গে সরবরাহ নিশ্চিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। চুম্বকটির স্পর্শকাতর কোনো প্রোগ্রাম থেকে তথ্য নেওয়ার সামর্থ নেই। ফ্লাইট অপারেশনের জন্য এফ-৩৫ এখনো সম্পূর্ণ নিরাপদ আর বিষয়টি সুরাহা ও অর্ডার সরবরাহ আবারও শুরু করতে যতো দ্রুত সম্ভব সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।