চীনের কাছে সামরিক সহায়তা চায়নি রাশিয়া : ক্রেমলিন
চীনের কাছে কোনো ধরনের সামরিক সহায়তা চায়নি রাশিয়া। ইউক্রেনে লক্ষ্য যথাসময়ে ও সম্পূর্ণরূপে অর্জনে রাশিয়ার পর্যাপ্ত সামরিক ক্ষমতা রয়েছে।
সোমবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বাসভবন ক্রেমলিন বিষয়টি জানিয়েছে। রুশ বার্তা সংস্থা তাস ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ বিবৃতিতে এই বিষয়টি জানিয়েছেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছিলেন, রাশিয়া চীন থেকে সামরিক সহায়তা চেয়েছে। তার জবাবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে এই বিবৃতি দেওয়া হলো।
চীনের কাছে সামরিক সহায়তা চাওয়ার দাবি মিথ্যা উল্লেখ করে দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘এ নিয়ে অনেক পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। আজকাল খবরের কাগজে অনেক কিছুই পড়তে পারেন। এগুলোকে মূল উৎস হিসেবে গণ্য করা উচিত নয়।’
রাশিয়া ইউক্রেনে যুদ্ধ চালাতে চীনের কাছে ড্রোনসহ সামরিক সহায়তা চেয়েছে বলে দাবি করেন ওই মার্কিন কর্মকর্তা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন বলছে, চীনের কাছ থেকে সামরিক সহায়তা পেলে ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান আগ্রাসনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে। এতে করে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় বাহিনীর প্রতিরোধ হুমকির মুখে পড়তে পারে।
এদিকে, সামরিক সহায়তা চেয়ে রাশিয়ার অনুরোধের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত চীনা দূতাবাস বক্তব্য জানতে চেয়েছিল সিএনএন। এর পরিপ্রেক্ষিতে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেনগিউ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি এমন কিছু কখনও শুনিনি।’
তবে, চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র ‘ইউক্রেন পরিস্থিতির’ জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ পরিস্থিতিকে ‘প্রকৃতপক্ষে দুশ্চিন্তার বিষয়’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন, চীন ইউক্রেনকে মানবিক সহায়তা দিয়েছে এবং তা অব্যাহত রাখবে।
লিউ বলেন, ‘এ মুহূর্তে যে বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া উচিত, তা হলো—উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিকে আর বাড়তে না দেওয়া কিংবা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়া থেকে আটকানো। চীন সর্বোচ্চ সংযমের চর্চা করা এবং বড় ধরনের মানবিক সংকট প্রতিরোধের আহ্বান জানাচ্ছে।’