চীনে ব্যাংক কেলেঙ্কারির সম্ভাব্য পরিমাণ ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার : প্রতিবেদন
মধ্য চীনের হেনান প্রদেশের ছয়টি গ্রামীণ ব্যাংকের চার লাখেরও বেশি আমানতকারীকে তাদের টাকা তুলতে না পারলে ব্যাংকিং নিয়ন্ত্রকদের কাছে মামলা করতে বলা হয়েছে। আমানতকারীদের মোট অর্থের পরিমাণ ৪০ বিলিয়ন ইউয়েন (ছয় বিলিয়ন ইউএস ডলার)।
এশিয়া টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করা আমানতকারীরা এপ্রিল থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তাদের অর্থ উত্তোলন করতে পারেননি, যেখানে তাঁরা ৯ শতাংশ পর্যন্ত বার্ষিক লাভের আশা করেছিলেন।
শনিবার জুচাং, হেনানের পাবলিক সিকিউরিটি ব্যুরো জানিয়েছে, তারা ১৩টি গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ন্ত্রণকারী হেনান জিনকাইফু গ্রুপ ইনভেস্টমেন্ট হোল্ডিং কোম্পানির ওপর একটি প্রাথমিক তদন্ত সম্পন্ন করেছে। সেখানে দেখা গেছে, কোম্পানিটি অবৈধভাবে আমানত লেনদেন করেছে। সিকিউরিটি ব্যুরো বেশ কয়েক জনকে গ্রেপ্তার ও তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেছে।
জিনকাইফু গ্রুপের মালিক লিউ ই গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ছিলেন কি না, তা জানায়নি ব্যুরোটি। তবে এটি জানিয়েছে যে, মামলাটিতে গুরুতর অপরাধ যুক্ত আছে। চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গণমাধ্যম জানিয়েছে, লিউ হয়তো যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গেছেন।
এপ্রিলের শেষের দিকে, আমানতকারীরা অভিযোগ করেছিলেন যে, তাঁরা ইউঝো জিনমিনশেং, ঝেচেং হুয়াংহুই ও শাংচাই হুইমিন ব্যাংকসহ বেশ কয়েকটি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তাঁদের অর্থ তুলতে পারেননি।
৩০ এপ্রিল চায়না ব্যাঙ্কিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স রেগুলেটরি কমিশন (সিবিআইআরসি) জানায় যে, তারা হেনানের কিছু গ্রামীণ ব্যাংকের দ্বারা পরিচালিত অবৈধ অনলাইন ব্যাংকিং পরিসেবার বিষয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য স্থানীয় নিয়ন্ত্রক এবং সরকারী বিভাগের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার কথাও জানিয়েছে কমিশনটি।
সিবিআইআরসি ১৮ মে জানায়, কমিশন ও পিপলস ব্যাংক অব চায়না ঝেংঝুতে তাদের ইউনিটগুলোকে স্থানীয় ব্যাঙ্কিং কার্যক্রম নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করতে এবং তদন্তকে এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
সোমবার চংকিং মর্নিং পোস্ট-এর খবরে বলা হয়েছে, এ বছরের শুরুতে ঘুষ নেওয়া এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল চায়না ব্যাংকিং রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান কাই এশেংকে। সে ঘটনার তদন্তের জন্য লিউকে তথ্য দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরই হয়তো লিউ যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে গিয়েছেন।