চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের প্রতিবাদে উত্তপ্ত বিহার
‘অগ্নিপথ’ প্রকল্পের আওতায় চুক্তিভিত্তিক সেনা নিয়োগের প্রতিবাদে ভারতের বিহার রাজ্যের নানা প্রান্তে চলছে বিক্ষোভ। ক্রমেই এ বিক্ষোভ হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে। রাজ্যটিতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে গতকাল বুধবার বিহারের গয়া, পাটনা, মুজাফফ্রপুর-সহ নানা জায়গায় চাকরিপ্রার্থীরা রেললাইন অবরোধ করেছিলেন।
আজ বৃহস্পতিবারও বক্সার, নওয়াদা, ছপরা, বেগুসরাই, আরা, মুঙ্গের, জেহানাবাদের মতো এলাকায় ছড়িয়েছে বিক্ষোভ। রেলের পাশাপাশি অবরোধ করা হয়েছে জাতীয় সড়ক। টায়ার জ্বালানো, পাথর ছোড়া, গাড়ি ও ট্রেন ভাঙচুরের মতো ঘটনাও ঘটেছে। ছপরায় ট্রেনেও আগুন ধরানো হয়েছে। খবর এনডিটিভির।
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার সরকারের পুলিশ বাধা দিতে গেলে বেধে যায় সংঘর্ষ। লাঠি ও কাঁদানে গ্যাসে কয়েক জন বিক্ষোভকারীর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে আরা এবং জেহানাবাদে।
গত মঙ্গলবার অগ্নিপথ প্রকল্পের ঘোষণা করেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। ওই প্রকল্পে সাড়ে ১৭-২১ বছরের তরুণ-তরুণীরা চার বছরের জন্য মাসিক ৩০-৪৫ হাজার রুপির চুক্তির ভিত্তিতে সশস্ত্র বাহিনীর তিন শাখায় (স্থল, নৌ এবং বায়ুসেনা) যোগ দিতে পারবেন। তাঁদের বলা হবে ‘অগ্নিবীর’।
সেনায় শূন্য পদ ও যোগ্যতার ভিত্তিতে চতুর্থ বছরের শেষে সে ব্যাচের সর্বাধিক ২৫ শতাংশ অগ্নিবীরকে সেনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাকিদের ১১-১২ লাখ রুপি হাতে দিয়ে পাঠানো হবে অবসরে। থাকবে না কোনো পেনশন।
এ পরিস্থিতিতে বিহারসহ যে রাজ্যগুলোতে যুবকদের সেনায় যোগদানের হার বেশি, সেখানে আন্দোলনের তীব্রতা বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে অবিভক্ত বিহারের প্রত্যন্ত জেলাগুলোর প্রান্তিক পরিবারের যুবকদের চাকরির অন্যতম ভরসা ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী।