জলবায়ু পরিবর্তন : ক্ষতিপূরণ দিতে ধনী দেশগুলোর ওপর দরিদ্র দেশগুলোর চাপ
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে জাতিসংঘের কপ-২৬ সম্মেলনে ধনী দেশগুলোর নেতাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে দরিদ্র দেশগুলো। শক্তিশালী ঝড়-তুফান, ঘূর্ণিঝড়, খরা ও বন্যায় দরিদ্র দেশের জনগণ ব্যাপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে প্রতি বছর কয়েকশ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দেওয়ার কথা বলা হলেও গত বছরের প্রতিশ্রুতির একশ বিলিয়ন ডলার আদায় করাই দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। স্কটল্যান্ডের গ্লাসগো শহরে চলমান কপ-২৬ সম্মেলনে এ নিয়ে দেনদরবার চলছে।
জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহার বন্ধ করতে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু তহবিল থেকে অর্থ দেওয়ার কথা। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দরিদ্র দেশগুলো মূলত কম দায়ী।
উন্নয়নশীল দেশগুলোর হয়ে জলবায়ু সম্মেলনে দরকষাকষিতে নিয়োজিত ক্লাইমেট অ্যাকশন নেটওয়ার্কের উপদেষ্টা হারজিৎ সিং বলেছেন, ‘ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আসলেই ব্যাপক ধীরগতি রয়েছে। অন্যদিকে, ক্ষতির মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) জলবায়ু নীতি নির্ধারণী কমিটির প্রধান ফ্রান্স টিমারম্যান্স সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘যেসব ক্ষেত্রে অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন, দ্রুততার সঙ্গেই তা দেওয়া হবে।’ তবে বরাদ্দের পরিমাণ বা এ সংক্রান্ত সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য তিনি দেননি।
অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন প্রতিনিধির কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের ফলে ক্ষতির দায় মেটাতে প্রয়োজনীয় অর্থ কারা দেবে তা নিয়ে সম্মেলনে সরব রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর নেতারা।
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থনীতিবিদেরা। ক্রিশ্চিয়ান এইডের নিয়োজিত একদল গবেষক জানিয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোতে ওইসব দেশের প্রবৃদ্ধির এক পঞ্চমাংশের সমান হয়ে যেতে পারে।