জাপানে বিক্রি হচ্ছে ভাল্লুকের মাংস, প্রতি কেজি ৬৮ ডলার
জাপানের স্বয়ংক্রিয় ভেন্ডিং মেশিনে বিক্রি হচ্ছে ভাল্লুকের মাংস। প্রতি আড়াইশ গ্রাম মাংস বিক্রি হচ্ছে দুই ২০০ ইয়েন (জাপানি মুদ্রা) বা ১৭ মার্কিন ডলারে। সে অনুযায়ী প্রতি কেজি মাংসের দাম পড়ছে ৬৮ ডলার। দেশটির স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের বরাতে আজ সোমবার (৩ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি জানায়, জাপানের ভেন্ডিং মেশিনগুলোতে নতুন করে পাওয়া যাচ্ছে বন্য ভাল্লুকের মাংস। এর আগে মেশিনগুলোতে তিমির মাংস ও ক্যানে করে শামুক বা খাওয়ার যোগ্য পোকামাকড় পাওয়া যেত। আর নতুন আইটেম হিসেবে যোগ হয়েছে ভাল্লুকের মাংস। জাপানের সেমবুকো শহরে এমনটি দেখা যাচ্ছে।
জাপানের পত্রিকা মাইনিচি শিম্বুনের বরাতে বিবিসি বলছে, স্থানীয়ভাবে শিকার করা কালো ভাল্লুকের বিভিন্ন অংশ পাওয়া যাচ্ছে ভেন্ডিং মেশিনে। গ্রাহকরা ভেন্ডিং মেশিন থেকে চর্বিযুক্ত বা বিনা চর্বিযুক্ত মাংস কিনতে পারছেন। প্রতি ২৫০ গ্রামের জন্য তাদের গুনতে হচ্ছে দুই হাজার ২০০ ইয়েন।
এশিয় অঞ্চলে পাওয়া যায় কালো ভাল্লুক। তবে, বর্তমানে এই প্রাণীটির সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে গেছে। এ জন্যই কালো ভাল্লুককে আন্তর্জাতিকভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে। তবে, জাপানে বিপুল পরিমাণে এ জাতের ভাল্লুকের দেখা মিলে। এই প্রাণীর সংখ্যা সীমিত রাখতে শিকারের অনুমতি দিয়ে রেখেছে জাপান সরকার।
বিবিসি বলছে, আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চলের উত্তরের শহরের সেমবুকোর সোবা গোরো রেস্টুরেন্টে প্রতি সপ্তাহে ১০ থেকে ১৫ প্যাক ভাল্লুকের মাংস বিক্রি হয়। শহরটির নিকটবর্তী পাহাড়ি অঞ্চল থেকে এসব ভাল্লুককে শিকার করে স্থানীয় শিকারিরা। শিকারের মৌসুমে ভেন্ডিং মেশিনগুলো খালি হয়ে যায়।
জাপানের শহর থেকে শুরু প্রত্যন্ত গ্রামেও ভেন্ডিং মেশিন পাওয়া যায়। ভেন্ডিং মেশিনের প্রাপ্যতা নিয়ে বিশ্বের সবার ওপরে রয়েছে সূর্যোদয়ের দেশটি।
জাপানের পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, সর্বশেষ সাত বছরে তিন থেকে সাত হাজার ভাল্লুক বদ হয়েছে। এদের অধিকাংশ মানুষের শিকার, আর কিছু প্রাণীর আক্রমণের শিকার। বর্তমানে দেশটিতে ১৫ হাজারের মতো কালো ভাল্লুক রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।