জার্মানিতে মুসলিমদের কবরস্থানের ঘাটতি
ইউরোপের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ জার্মানি। প্রতি বছরই নতুন করে অভিবাসীরা পাড়ি জমাচ্ছেন দেশটিতে, যার অধিকাংশই মুসলমান ধর্মালম্বী। বর্তমানে জার্মানিতে ৫০ লাখের বেশি মুসলমান বাস করেন। প্রথম প্রজন্মের মুসলিমদের বেশিরভাগই মৃত্যুর পর নিজ দেশে সমাহিত হতে চান। তবে, পরবর্তী প্রজন্মের বেশিরভাগ জার্মানিতেই থেকে যেতে চান।
সেন্ট্রাল কাউন্সিল অব মুসলিমসের নর্থরাইন ওয়েস্টফালিয়া রাজ্যের চেয়ারম্যান সামির বুয়াইসা বলেন, ‘জার্মানিতে সমাহিত হতে চাওয়া মুসলমানের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।’
এই কাউন্সিলর জার্মানিতে এমন একটি কবরস্থান তৈরি করতে চাইছেন যেটা পরিচালনার দায়িত্বে শুধু মুসলমানরা থাকবেন। ভুপার্টাল শহরে সেটি গড়ে তোলা হবে। এর কাছে প্রোটেস্টান্টদের একটি পুরোনো কবরস্থান ও ইহুদিদের একটি নতুন কবরস্থান আছে। বুয়াইসা বলেন, ‘এই তিনটি কবরস্থানের জন্য একটি নির্দিষ্ট জায়গা থাকবে, যেখানে শেষকৃত্যের জন্য তিনটি আলাদা রুম থাকবে।’
বর্তমানে জার্মানিতে ৩০ হাজারের বেশি কবরস্থান আছে। এর এক-তৃতীয়াংশ গির্জা কর্তৃপক্ষ, আর বাকিগুলো শহর কর্তৃপক্ষ পরিচালনা করে থাকে। বুয়াইসা বলেন, ‘ভবিষ্যতে জার্মানিতে মুসলমানদের কবর দেওয়ার জন্য আরও জায়গা লাগবে। কারণ, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে যে শরণার্থীরা জার্মানিতে এসেছেন তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা কম।’
গত মাসে বার্লিন রাজ্যের প্রধান জানান, এ বছর অন্তত আরও তিনটি কবরস্থানে মুসলমানদের জন্য কবর দেওয়ার জায়গার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।