জার্মানির হামবুর্গে গির্জায় গোলাগুলি, নিহত ৭
জার্মানির উত্তরাঞ্চলীয় শহর হামবুর্গে গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) রাতে একটি গির্জায় গোলাগুলির ঘটনায় বেশ কয়েকজন নিহত হয়েছেন। পুলিশ বলছে, হামলাকারী বন্দুকধারীও নিহত হয়েছেন। তবে জার্মানির গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্যানুযায়ী এই গোলাগুলিতে নিহত ছয়-সাত জনের মধ্যে বন্দুকধারীও আছেন কিনা তা পরিষ্কার নয়।
পুলিশ জানায়, এখনও তাদের কাছে হামলার কারণ জানার মতো বিশ্বাসযোগ্য কোনো তথ্য আসেনি। শরটির গ্রোস বরশলেট জেলার দিলবোগ সড়কে সংঘটিত এই গোলাগুলিতে বেশ কয়েকজন লোক আহতও হয়েছেন। খবর বিবিসির।
হামবুর্গ পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলের কাছে তারা একটি মৃতদেহ পেয়েছেন যেটি দেখে তারা মনে করছেন তা হামলাকারীর। তবে এ বিষয়ে তদন্ত এখনও চলছে।
পুলিশের মুখপাত্র হোলগার ভেহরেন জানান, ওই ভবনে গোলাগুলি হচ্ছে এমন খবরটি তারা পেয়েছিলেন গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে। তিনি বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত অবস্থায় কয়েকজনকে পাই যাদের গুলি করা হয়েছিল।’
হোলগার বলেন, ‘পুশি সদস্যরা গুলির শব্দে ভবনটির উপরে যায় ও সেখানে একজনকে খুঁজে পায়। তবে কেউ পালিয়ে গেছে এমন তথ্য আমাদের কাছে নেই।’ তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার লোকদের পরিচয় এখনও মেলেনি এবং এ বিষয়ে কাজ চলছে।
হোলগার ভেহরেন বলেন, ‘আমরা শুধু এতটুকুই জানি যে বেশ কয়েকজন লোক মারা গেছেন এবং বেশ কয়েকজন লোক আহত হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও জানান, কী কারণে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা পরিষ্কার নয়।
জার্মানির কেন্দ্রীয় অ্যালার্ম সিস্টেমে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ওই এলাকার স্থানীয়দের উদ্দেশ্যে একটি সতর্ক সংকেত আসে এই বলে যে, একটি গির্জায় এক বা একাধিক লোক বন্দুক হামলা চালিয়েছে।
হামবুর্গের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্ডি গ্রোটে এক টুইটার বার্তায় জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশের বিশেষ স্কোয়াড ও অনেক কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। সাধারণ জনতাকে গুজব না ছড়াতে আবেদন জানানো হয়েছে।
‘জেহোভার সাক্ষী’ কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত এই গির্জাটি খ্রিস্টান ধর্মীয় আন্দোলনের সাথে জড়িত। উনিশ শতকের শেষ ভাগে চার্লস টেইজ রাসেলের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনটির সদরদপ্তর নিউইয়র্ক শহরে অবস্থিত।