জি-২০ সম্মেলন : জলবায়ু পরিবর্তন ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার নিয়ে মূল আলোচনা
বিশ্বের সমৃদ্ধশালী দেশগুলোর নেতারা আজ শনিবার জলবায়ু পরিবর্তন এবং বিশ্ব অর্থনীতি নতুন করে সচল করার মূল এজেন্ডা নিয়ে ইতালির রোমে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে বৈঠকে বসছেন। করোনা মহামারির পর এই প্রথম শীর্ষনেতারা সশরীরে সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। সংবাদমাধ্যম ভ্যাটিকান নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে, স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে আগামীকাল রোববার থেকে শুরু হতে যাওয়া কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনের প্রাক্কালে রোমে অনুষ্ঠিত দুদিনের জি-২০ সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা মোকাবিলায় বিষয় আলোচনা এগিয়ে নেয়ার জন্য চাপ রয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস গতকাল শুক্রবার জি-২০ নেতাদের সতর্ক করে তাঁদের জলবায়ু পরিবর্তন মোকবিলায় অবিশ্বাস কাটিয়ে উঠে জলবায়ু বিষয়ক লক্ষ্য অর্জনে ‘আরও উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং আরও পদক্ষেপ’ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন।
গুতেরেস বলেছেন, ‘আমরা এখনও সঠিক পথে রয়েছি। আমি মনে করি এটি এগিয়ে নেওয়ার জন্য জি-২০ সম্মেলন একটি সুযোগ।’
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইতালি সফরে আসায় রোমে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সময়ে টালমাটাল অবস্থা ঘুরিয়ে দিতে এবং বিশ্বে মার্কিন নেতৃত্ব পুনরুদ্ধারে বাইডেন এ সফরে আসেন।
জি-২০ সম্মেলনে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সশরীরে উপস্থিত থাকবেন না, তাঁরা ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।
সম্মেলনের আয়োজক ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি ‘জি-২০ সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখার অঙ্গীকার ঘোষণার’ আহ্বান জানিয়েছেন। ২০১৫ সালে জলবায়ু সম্মেলনে ‘প্যারিস চুক্তিতে’ প্রাক শিল্পযুগের স্তরের এ তাপমাত্রা ধরে রাখার অঙ্গীকার করা হয়।
জি-২০ সম্মেলনে বৈশ্বিক উষ্ণতা রোধে বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশগুলোর মধ্যে বৈষম্য নিরসন একটি কঠিন বিষয় হবে।
চীন বিশ্বের বৃহত্তম দূষণকারী দেশ। বিশ্বের এক-চতুর্থাংশের বেশি কার্বন নিঃসরণের জন্য চীন দায়ী। দূষণ কমিয়ে আনার আহ্বান পাশ কাটিয়ে দেশটি নতুন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
কপ-২৬ সম্মেলনের আগে চীন কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের পরিকল্পনা পেশে ব্যর্থ হয়েছে। পরিবেশবাদীরা আশা করছেন—জাতিসংঘে পেশ করা এক নতুন পরিকল্পনায় ২০৬০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যতে নামিয়ে আনবে।