ট্রাকচালকদের কাছে আদানি নিয়ে হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন ‘ঐশ্বরিক’!
নিউইয়র্ক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের এক প্রতিবেদনেই টালমাটাল ভারতের ধনকুবের গৌতম আদানির শিল্পগোষ্ঠী। শেয়ারের দাম কমেছে গোষ্ঠীটির সাত সংস্থার। কোটি কোটি ডলার হারিয়েছেন গৌতম আদানি। শীর্ষ ধনীর তৃতীয় পজিশন থেকে ছিটকে পড়ে এসেছেন ২৬তম স্থানে। আরও অধঃপতন হতে পারে বলে ধারণা সংশ্লিষ্টদের।
হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনকে বরাবরই ভিত্তিহীন বলে দাবি করে আদানি শিল্পগোষ্ঠী। তবে, নিউইয়র্ক ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিবেদনকে ঐশ্বরিক বলে আখ্যা দিচ্ছে ভারতের ট্রাকচালকেরা। আজ বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে রয়টার্স।
প্রতিবেদনে লন্ডন ভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, উত্তর ভারতের ট্রাক চালকদের কাছে আদানি নিয়ে হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনটি ঐশ্বরিক। কারণ, প্রতিবেদনে জন্য তাদের জীবিকা রক্ষা পেয়েছে।
উত্তর ভারতের হিমাচল প্রদেশে আদানি সিমেন্টের দুটি প্ল্যান্ট। গত ১৫ ডিসেম্বর প্ল্যান্ট দুটি বন্ধের ঘোষণা করে তারা। এর মূলে ছিল, ট্রাক চালকদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে বিতর্ক। আদানি চেয়েছিল ট্রাক ভাড়া অর্ধেকে নামাতে। তবে, এতে সায় দেয়নি ট্রাকচালকেরা। এ নিয়ে তারা বিক্ষোভ ও র্যালি করেন।
এদিকে, গত সোমবার আদানি নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী ট্রাক ভাড়া নিয়ে নিজেদের সর্বশেষ বক্তব্য দেয়। তারা জানায়, ভাড়া নিয়ে ট্রাক চালকদের সঙ্গে বিবাদ মিটেছে। তারা ১০ থেকে ১২ শতাংশ ভাড়া কমাতে সম্মত হয়েছে। এ নিয়ে ট্রাকচালক ইউনিয়নের নেতা বলেন, ‘রাতের বৈঠকে আমরা সফলতা পেয়েছি।’
ট্রাকচালকদের সঙ্গে আদানি গ্রুপের বিবাদ মিটেছে হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনে চার সপ্তাহ পরে। ওই প্রতিবেদনে নিউইয়র্ক রিচার্স প্রতিষ্ঠানটি জানায়, এক দশক ধরে শেয়ারের দরে কারচুপি করছে আদানি গোষ্ঠী। আর্থিক লেনদেনে প্রতারণা চালিয়ে আসছে। তবে, এটিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করছে আদানি গ্রুপ।
রয়টার্স বলছে, ট্রাক চালকদের সঙ্গে আদানি গ্রুপের সমঝোতা গোষ্ঠীটিতে তেমন প্রভাব ফেলবে না। তবে, এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে সাধারণ ট্রাকচালকদের মাঝে। মাত্র সাত ডলার করে প্রতিদিন আয় করেন তারা।
ট্রাকচালকদের এই বিক্ষোভে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন রাম কিশান শর্মা। তিনি বলেন, ‘হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদনটি আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ট্রাকচালকদের সংগঠিত ও রাজনৈতিক সুবিধা পেতে এটি আমাদের সাহায্য করেছে।’