ড্রোন বিধ্বস্তের ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল রাশিয়া
যুক্তরাষ্ট্রের মনুষ্যবিহীন ড্রোন ও রাশিয়ার যুদ্ধবিমানের সংঘর্ষের ঘটনায় বিশ্বের দুই সুপারপাওয়ার দেশের উত্তেজনা আরও বাড়ছে। ড্রোন বিধ্বস্ত নিয়ে ওয়াশিংটনকে সতর্ক করেছে মস্কো। তারা তাদের আকাশসীমা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে দূরে থাকতে বলেছে। গতকাল বুধবার (১৫ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এমনটি জানিয়েছে রয়টার্স।
লন্ডনভিত্তিক সংবাদ সংস্থাটি জানায়, বুধবার ওয়াশিংটনকে নিজেদের আকাশসীমা থেকে দূরে থাকতে সতর্ক করেছে রাশিয়া। কৃষ্ণ সাগরে মার্কিন ড্রোন বিধ্বস্ত হওয়ার পর এই প্রথম সতর্কবার্তা দিল মস্কো। ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর পরাশক্তিদের মধ্যে এটিই প্রথম কোনো সরাসরি সংঘর্ষের ঘটনা।
এই সংঘর্ষের জন্য একে অপরকে দুষছে ওয়াশিংটন ও মস্কো। ওয়াশিংটনের দাবি, ড্রোনটি রুটিন মিশনে আন্তর্জাতিক আকাশসীমায় থাকার সময় দুটি রুশ যুদ্ধবিমান এর পথ আটকাতে চেষ্টা করে। আর মস্কোর দাবি, যে আকাশ সীমায় সংঘর্ষ হয়েছে সেটি তাদের অঞ্চল। এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ছে বলেও অভিযোগ তাদের। আর রাশিয়ার এই কাজকে বেপরোয়া বলছে ওয়াশিংটন।
এদিকে, কৃষ্ণ সাগর থেকে ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে কাজ করার কথা জানিয়েছে রাশিয়া। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বলছে, অতল সাগর থেকে কোনোদিন ড্রোনের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা সম্ভব নয়। এমনকি ধ্বংসাবশেষ থেকে রাশিয়া যেন কোনো গোপন তথ্য না পায় সেজন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ক্রেমলিনে নিরাপত্তা পরিষদের সেক্রেটারি নিকোলাই পাত্রুশেভ বলেছেন, ‘আমেরিকানরা বলে চলছে, তারা সামরিক যুদ্ধে অংশ নিচ্ছে না। তবে তারা যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ছে এই ঘটনায় সেটি স্পষ্ট হয়েছে।’
এদিকে, মার্কিন সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, সু-২৭ মডেলের দুটি রুশ যুদ্ধ বিমান তাদের একিউ-৯ ড্রোনের পথ রোধ করে। ফলে রুশ বিমানের সঙ্গে এটির সংঘর্ষ হয়। এতে করেই ড্রোনটি বিধ্বস্ত হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের বিমান বাহিনীর ইউরোপ অঞ্চলের কমান্ডার জেমস বি হেকার বলেন, ‘এই কাজ করে তারা অপেশাদারিত্ব দেখিয়েছে। এমনকি তাদের দক্ষতারও অভাব রয়েছে।’ আর হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জন কিরবি রুশ রাষ্ট্রদূত আনাতোলি আন্তোনভকে তলব করে এরকম ঘটনা যেন আর না হয় সে বিষয়ে সতর্ক করেন।
রাশিয়া বলছে, ড্রোন ও যুদ্ধবিমানের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ হয়নি। ড্রোনটি ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের আকাশসীমায় প্রবেশ করে ও উস্কানি দেয়। পরে এটি বিধ্বস্ত হয়। এ নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের কোনো যোগাযোগ হয়নি।