তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের যুক্তরাষ্ট্র সফরের মুহূর্তে চীনের সামরিক মহড়া শুরু
তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন যখন যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন, সেই মুহূর্তে দেশটির পূর্বদিকের সমুদ্র উপকূলে সামরিক মহড়া শুরু করেছে চীন।
ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে বৈঠক করেন সাই। দুই নেতা যখন রোনাল্ড রিগান প্রেসিডেন্সিয়াল লাইব্রেরি ভবনে আলোচনার জন্য ঢুকছেন, তখন সেখান দিয়ে একটা ছোট বিমান উড়ে যাচ্ছিল। তাতে ঝুলছিল একটা ব্যানার। সেটিতে লেখা, ‘এক চীন। তাইওয়ান চীনের অংশ।’
সাই খুব বড় বিবৃতি দেননি। তিনি বলেন, তাইওয়ান এখন সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্র তাদের পাশে থাকায় তিনি কৃতজ্ঞ।
সাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময়টাও গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ান নিয়ে চীন এখন তাদের তৎপরতা বাড়াচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এই সফর যথেষ্ট তৎপর্যপূর্ণ। এর আগেও যখন তাইওয়ান-বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল, তখন সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করেছিলেন। তার সফরের পরেই চীন তাইওয়ানের চারপাশ ঘিরে সামরিক মহড়া করে।
এদিকে ম্যাকার্থি বলেন, তাইওয়ান বরাবরই যুক্তরাষ্ট্রের বড় বন্ধু। দুই দেশের মানুষ একসঙ্গে গণতন্ত্র, অর্থনীতি, স্বাধীনতা, শান্তি ও স্থায়িত্ব বজায় রেখে তা আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছে এবং ভবিষ্যতেও করবে।
ম্যাকার্থির মতে, এই দুই দেশের বন্ধুত্ব মুক্ত বিশ্বের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সাই বলেন, যুক্তরাষ্ট্র পাশে থাকায় তাইওয়ানের কখনও একা লাগে না, একঘরে মনে হয় না।
এদিকে, সাইয়ের সঙ্গে ম্যাকার্থির বৈঠকের পরেই তাইওয়ানের কাছে চীনের দ্বিতীয় এয়ারক্রাফট কেরিয়ার মহড়া শুরু করেছে। তাইওয়ানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, তাদের দেশের পূর্বদিকের সমুদ্র উপকূল থেকে ২০০ নটিক্যাল মাইলের কাছে পৌঁছে গেছে চীনের এই এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার। এছাড়া চীনের আরেকটি এয়ারক্র্যাফট কেরিয়ার আগেই তাইওয়ানের দক্ষিণে বাশি চ্যানেলে পৌঁছে গেছে।
চীন এই সফর নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। সরকারি সংবাদমাধ্যম সিনহুয়ার রিপোর্ট বলছে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষার জন্য চীন যেকোনো পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে যোগসাজশ রয়েছে, তা সাইয়ের সফর থেকে স্পষ্ট হয়েছে। চীনের দাবি, তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।