তাইওয়ান ঘিরে মহড়ায় যেসব সমরাস্ত্র ব্যবহার করছে চীন
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকারের সঙ্গে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের বৈঠকে ক্ষুব্ধ চীন দ্বীপ দেশটির চারপাশ ঘিরে তিন দিনের সামরিক মহড়া শুরু করেছে। ‘অপারেশন শার্প সোর্ড’ নামে গতকাল শনিবার (৮ এপ্রিল) শুরু হওয়া এই মহড়া আগামীকাল সোমবার (১০ এপ্রিল) শেষ হবে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও রয়টার্স।
গতকাল শনিবার যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফেরেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। তার কিছুক্ষণ পরেই চীন সামরিক মহড়া শুরু করে। এই মহড়াকে তারা তাইওয়ানের সরকারের প্রতি কড়া হুঁশিয়ারি হিসেবে উল্লেখ করেছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা অতিক্রম করেছে ৪২টি চীনা সামরিক বিমান ও আটটি যুদ্ধজাহাজ। এই মধ্যরেখাকে চীন ও তাইওয়ানের মাঝে অঘোষিত সীমারেখা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অপরদিকে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, তাইওয়ানকে ঘিরে সামরিক মহড়ায় দূরপাল্লার রকেট, নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার, ক্ষেপণাস্ত্রবাহী জাহাজ, বিমানবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ, বোমারু বিমানসহ বহু অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জাম ব্যবহার করা হচ্ছে।
তাইওয়ানের নিজস্ব সংবিধান ও নির্বাচিত সরকার রয়েছে। তারা নিজেদের সার্বভৌম দেশ মনে করে। কিন্তু চীন তাইওয়ানকে তাদের থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া প্রদেশ বলে গণ্য করে। তারা মনে করে, একদিন তাইওয়ান বেইজিংয়ের নিয়ন্ত্রণে আসবে। এজন্য তারা প্রয়োজন হলে শক্তি প্রয়োগ করতে প্রস্তুত।
গতকাল শনিবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং ওয়েন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করে যাবে তাইওয়ান। কারণ তারা এখন চীনের কাছ থেকে ক্রমাগত ‘কর্তৃত্ববাদী সম্প্রসারণবাদের’ মুখোমুখি হচ্ছে।
তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, চীনের এই সামরিক মহড়া শান্তভাবে এবং যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে মোকাবিলা করা হবে। তাইওয়ানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা রক্ষায় তারা সংঘাত বা বিরোধকে আর না বাড়ানোর নীতি অনুসরণ করবে।
গত বছরের আগস্টে তাইওয়ান সফর করেন মার্কিন সাবেক স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। ওই সময়েও তাইওয়ানকে ঘিরে এক সপ্তাহের সামরিক মহড়া করেছিল চীন। ওই মহড়ায় যুদ্ধবিমান, যুদ্ধজাহাজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।