তালেবানের দ্রুত উত্থানে হতবাক মার্কিন প্রশাসন, বাইডেনের পদত্যাগ দাবি ট্রাম্পের
এতটা দ্রুতগতিতে তালেবানের প্রায় গোটা আফগানিস্তান নিয়ন্ত্রণের খবরে গতকাল রোববার হতবাক হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনসহ উচ্চ পর্যায়ের মার্কিন কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারের এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তান সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থতার দায়ে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রোববার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প এ আহ্বান জানান। নিউইয়র্ক পোস্ট এ খবর জানিয়েছে।
বিজনেস ইনসাইডারের খবরে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিক ও সেনাদের সরিয়ে আনার পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। তড়িঘড়ি করে তাঁদের আফগানিস্তান থেকে বের করে আনাই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে।
অল্প সময়ের মধ্যে আফগান সরকারের পতন এবং এর ফলে সৃষ্ট গোলমেলে পরিস্থিতিকে বাইডেনের জন্য অগ্নিপরীক্ষা আকারে দেখা হচ্ছে। রিপাবলিকানেরা এরই মধ্যে সমালোচনা শুরু করেছেন। তারা বলছেন, জো বাইডেন ব্যর্থ হয়েছেন।
অথচ নির্বাচনি প্রচারণা থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত বাইডেন নিজেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড় হিসেবেই আখ্যায়িত করে আসছেন। তাঁর দাবি, ২০ বছর ধরে চলে আসা যুদ্ধে অর্থ ও সামরিক শক্তি ব্যয় করে ক্লান্ত আমেরিকানরা।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন গতকাল রোববার সিএনএনকে বলেন, আফগানিস্তানের সরকারি বাহিনী দেশরক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। ফলে আমরা আমাদের ধারণার চেয়ে কম সময়ে এমন পরিস্থিতি দেখলাম।
আফগান সংঘাত মোকাবিলা করা চতুর্থ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও বারাক ওবামার ওপরও সেনা প্রত্যাহারের চাপ ছিল। কিন্তু, তাঁরা সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবানের রাজনৈতিক উত্থানের কথা বলে সেনা প্রত্যাহার করেননি। অন্যদিকে, বাইডেন বেশ দ্রুতই তা বাস্তবায়নের পথে হাঁটলেন।
গত জুলাই মাসের শেষের দিকে এবিসি নিউজ ও আইপিএসওএস পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, ৫৫ শতাংশ আমেরিকান আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহারে বাইডেনের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে।
মার্কিন সিনেটের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সদস্য সিনেটর ক্রিস মারফি বাইডেনের অবস্থানকে সমর্থন দিয়েছেন। এক সাক্ষাতকারে ক্রিস মারফি বলেছেন, তালেবানের দ্রুতগতির বিষয়টি অবাক করার মতোই, তবে এই পরিস্থিতিকে পররাষ্ট্র নীতির ব্যর্থতা বলার সুযোগ নেই। এটা বহু আগে থেকেই পরিষ্কার ছিল যে, যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার করলে আফগানিস্তান তালেবানের হাতে যাবে।