তুরস্ক-সিরিয়ায় চলছে মরণপণ উদ্ধার অভিযান, মৃতের সংখ্যা ৭,৮০০ ছাড়িয়েছে
তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ায় ভয়াবহ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা সাত হাজার ৮০০ ছাড়িয়ে গেছে আর ভেঙে পড়া ভবনগুলোর ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে জীবিতদের বের করে আনতে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় উদ্ধারকর্মীদের মরণপণ সংগ্রাম চলছে।
যতোই সময় যাচ্ছে বিপর্যয়ের মাত্রা চোখের সামনে আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠছে আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে কয়েক হাজার শিশু মারা যেতে পারে। খবর রয়টার্সের।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান দেশের ১০টি প্রদেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন। তবে ভূমকম্পে বিধ্বস্ত বেশ কয়েকটি শহরের অধিবাসীরা তাদের ভাষায় উদ্ধার তৎপরতায় অপ্রতুল সাড়ার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
মালাতিয়া এলাকায় বিধ্বস্ত বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে আত্মীয়-স্বজন হারানো মুরাত আলিনাক বলেন, ‘এখানে একজনও আসেনি। আমরা সম্পূর্ণ নিঃস্ব অবস্থায় প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তুষারের নীচে আশ্রয়হীন অবস্থায় রয়েছি। আমি এখন কী করবো, কোথায় যাবো?’
সোমবার (৬ফেব্রুয়ারি) ভোররাতে প্রথমে ৭.৮ মাত্রার এবং ঘণ্টাখানেক পর প্রায় সমান মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প তুরস্ক ও উত্তর সিরিয়ায় আঘাত হানলে স্কুল, হাসপাতাল, এপার্টমেন্টসহ কয়েক হাজার ভবন ভেঙে পড়ে। এই দুর্যোগে ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন আর বাড়িঘর হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছেন অসংখ্য মানুষ।
এদিকে ভেঙে যাওয়া রাস্তা, খারাপ আবহাওয়া ও প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাবে উদ্ধারকর্মীরা সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় পৌঁছাতে পারছেন না। কোথাও দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সঙ্কট।
তবে যেটুকু সহায়তা পাওয়া যাচ্ছে তা দিয়েই স্থানীয় জনতা বেঁচে যাওয়া মানুষদের উদ্ধারে প্রাণপণ সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে ১২ বছরের গৃহযুদ্ধে জর্জরিত সিরিয়ায় ভূমকম্পের কারণে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাহায্য সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা।