তেল-গ্যাস বেচে বাড়তি ১৪৪০ কোটি ডলার আয়ের আশা রাশিয়ার
ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর রাশিয়ার ওপর পশ্চিমাদের নানা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রুশ অর্থমন্ত্রী আন্তন সিলুয়ানভ আশা করছেন—জ্বালানি খাতে এ বছর অতিরিক্ত ১৪.৪ বিলিয়ন (এক হাজার ৪০০ কোটি) মার্কিন ডলার আয় করবে তাঁর দেশ।
এ লভ্যাংশের একটি অংশ ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ সহায়তার জন্য পাঠানো হবে বলেও জানান রুশ অর্থমন্ত্রী। শুক্রবার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। খবর আল-জাজিরার।
আন্তন সিলুয়ানভ বলেন, ‘আমরা তেল ও গ্যাস বিক্রি করে অতিরিক্ত এক ট্রিলিয়ন রুবল আয়ের আশা করছি।’
এদিকে, রুশ বাহিনী ইউক্রেনে হামলা করার পরপরই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তেলের বড় কিছু ক্রেতা রাশিয়া থেকে তেল আমদানি নিষিদ্ধ করে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) মস্কোর ওপর আরও কিছু নিষেধাজ্ঞা চূড়ান্ত করেছে। এর মধ্যে রাশিয়ার তেল কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ইউরোপের তেল পরিশোধনকারী কিছু কোম্পানিও এরই মধ্যে রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।
তবে, এর মধ্যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বলা হয়েছে—রাশিয়া থেকে এখন বেশি করে তেল কিনছে চীন। রীতিমতো দর-কষাকষি করে চুপিসারে দেশটি থেকে চীন তেল কেনা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বলা হচ্ছে, ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর রাশিয়া থেকে পশ্চিমা ক্রেতারা তেল কেনা বন্ধ বা কমিয়ে দেওয়ায় যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করছে বেইজিং।
যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের পরে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়া আগে প্রতিদিন প্রায় ৫০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করতো, যার অর্ধেকের বেশি যেত ইউরোপে।