দাবি আদায় করে ১৫ মাস পর ঘরে ফিরছেন ভারতের কৃষকরা
ভারতে বিতর্কিত কৃষি বিলের বিরুদ্ধে দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা কৃষকদের লড়াই অবশেষে শেষ হল। দাবি আদায় হওয়ায় রাজধানী দিল্লির সীমান্ত থেকে এবার ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তারা।
পঞ্জাবসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে দিল্লি সীমান্তে গিয়ে শিবির গেড়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন হাজার হাজার কৃষক। দীর্ঘ এই আন্দোলনে গরম, ঠাণ্ডা এবং করোনাভাইরাসে বহু কৃষকের মৃত্যুও হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসার পর কৃষকরা আন্দোলন তুলে নিতে একমত হয়েছেন। শনিবার থেকে তারা বাড়ি ফিরে যেতে শুরু করবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভারত সরকার গতবছর সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন পাস করলে বিক্ষোভ শুরু করে কৃষকেরা। তাদের আশঙ্কা ছিল, নতুন কৃষি আইনের ফলে সরকার আর ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে বাধ্য থাকবে না।
বাজারের উপর সরকারের নজরদারিও কমে যাবে। ফলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বড় বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানির হাতে চলে যাবে এবং কৃষকদের জীবন তাদের দয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
পঞ্জাবসহ বেশ কয়েকটি রাজ্য থেকে দিল্লি সীমান্তে গিয়ে শিবির গেড়ে আন্দোলন শুরু করেছিলেন হাজার হাজার কৃষক। দীর্ঘ এই আন্দোলনে গরম, ঠাণ্ডা এবং করোনাভাইরাসে বহু কৃষকের মৃত্যুও হয়েছে।
বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসার পর কৃষকরা আন্দোলন তুলে নিতে একমত হয়েছেন। শনিবার থেকে তারা বাড়ি ফিরে যেতে শুরু করবেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ভারত সরকার গতবছর সেপ্টেম্বরে বিতর্কিত তিনটি কৃষি আইন পাস করলে বিক্ষোভ শুরু করে কৃষকেরা। তাদের আশঙ্কা ছিল, নতুন কৃষি আইনের ফলে সরকার আর ন্যায্যমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ফসল কিনতে বাধ্য থাকবে না।
বাজারের উপর সরকারের নজরদারিও কমে যাবে। ফলে বাজারের নিয়ন্ত্রণ এবং কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণের ক্ষমতা বড় বড় ব্যক্তিমালিকানাধীন কোম্পানির হাতে চলে যাবে এবং কৃষকদের জীবন তাদের দয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বরাবরই অভয় দিয়ে বলে এসেছেন যে, এসব আইনে কৃষকরাই লাভবান হবেন। তবুও আন্দোলন থামেনি। মোদী সরকারের জন্য অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই কৃষক আন্দোলন।
শেষমেশ চলমান আন্দোলনের মুখে গত ১৯ নভেম্বর আইনগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেন মোদী। পরে পার্লামেন্টে নতুন আইন পাস করে তিনটি আইন প্রত্যাহারও করা হয়।