দিল্লিতে বাণিজ্যিক ভবনে ভয়াবহ আগুন, নিহত অন্তত ২৭
দিল্লির মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি চার তলা বাণিজ্যিক ভবনে আগুন লেগেছে। এতে অন্তত ২৭ জন নিহত হয়েছে। অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অন্তত ৪০ জন। সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
আগুন লাগা ওই ভবনজুড়ে তল্লাশি চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, যদি আর কারও সন্ধান মেলে। শুক্রবার রাতে শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত, অন্তত ৬০-৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জাতীয় ত্রাণ তহবিল থেকে নিহতদের পরিবার পিছু দুই লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
মুন্ডকা মেট্রো স্টেশনের কাছে ওই ভবনে মূলত বিভিন্ন সংস্থার অফিস রয়েছে। দোতলায় রয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা ও রাউটার নির্মাতা একটি সংস্থার অফিস। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেল স্থানীয় সময় পৌনে ৫টা নাগাদ ওই অফিসেই প্রথম আগুন লাগে। দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ে ভবনটিতে। ভেতরে যাঁরা ছিলেন, কিছু লোক বেরিয়ে আসেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, কেউ দড়ি ধরে দেয়াল বেয়ে নামছেন। কেউ আগুন থেকে বাঁচতে লাফ দিচ্ছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানালার কাচ ভেঙে উদ্ধার শুরু করে। আগুনের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যায় ফায়ার সার্ভিসে ৩০টি ইঞ্জিন। সিসিটিভি নির্মাতা সংস্থাটির পঞ্চাশেরও বেশি কর্মীকে উদ্ধার করা হয়। তবে, সংস্থার মালিক হরিশ গোয়েল ও বরুণ গোয়েলকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযোগ দায়ের হয়েছে বাড়ির মালিক মণীশ লাকড়ার বিরুদ্ধেও।
শুক্রবার রাতে দিল্লির ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা সুনীল চৌধুরী জানান, ‘আগুন নিয়ন্ত্রণে। উদ্ধারকাজ চলছে। এলাকাটি এত বড় যে, তা শেষ হতে সময় লাগবে।’ শুক্রবার মধ্যরাত পর্যন্ত পাওয়া খবর—একটি তলায় তল্লাশি বাকি। নিহতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। নিহতদের মধ্যে অন্তত এক জন নারী রয়েছেন বলে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানান, কর্মকর্তাদের সঙ্গে তিনি যোগাযোগ রাখছেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী টুইট করেছেন, ‘দিল্লির অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানির ঘটনায় আমি অত্যন্ত দুঃখিত। শোকাহত পরিবারগুলোকে সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’ টুইটারে শোক প্রকাশ করেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কংগ্রেসনেতা রাহুল গান্ধীও। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ টুইটারে লেখেন, ‘আমি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। প্রশাসন উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী শিগগিরই পৌঁছচ্ছে। মানুষগুলোকে ওখান থেকে বের করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াটাই এখন অগ্রাধিকার।’