দুদেশের সম্পর্ক আরো গভীর করার অঙ্গীকার জনসন ও বাইডেনের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক গভীর করা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতা আরো জোরদারের অঙ্গীকার করেছেন। জো বাইডেন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের পর গতকাল শনিবার এই প্রথম উভয় নেতার আলাপে তাঁরা এই অঙ্গীকার করেন। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
ডাউনিং স্ট্রিটের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং দুদেশের সম্পর্ক আরো গভীর করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
ব্রিটিশ পত্রপত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, জনসনই প্রথম ইউরোপীয় নেতা যিনি বাইডেনের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
জো বাইডেন এর আগে কানাডা ও মেক্সিকার রাষ্ট্রনায়কদের সঙ্গে কথা বলেছেন।
জো বাইডেন ২০১৯ সালে বরিস জনসনকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সদ্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘ক্লোন’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, পূর্বের শীতল সম্পর্কে উষ্ণতা তৈরিই এ বাইডনের এই ফোনালাপের উদ্দেশ্য।
এ ছাড়া বাইডেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর জনসনের বেক্সিট নীতিরও সমালোচক। কিন্তু ডাউনিং স্ট্রিটের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় নেতা দুদেশের সম্ভাব্য অবাধবাণিজ্য চুক্তির সুবিধা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বরিস জনসন ‘যত দ্রুত সম্ভব’ বর্তমান বাণিজ্য ইস্যু সমাধানেরও আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন।
এ ছাড়া দুই নেতাই শিগগিরই সাক্ষাৎ করবেন বলে জানিয়েছেন। তাঁরা চলতি বছরের নভেম্বরে স্কটল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনের বিষয়ে একযোগে কাজ করারও অঙ্গীকার করেন।
ন্যাটো জোটের বিষয়েও উভয় নেতা তাঁদের অঙ্গীকার পুর্নব্যক্ত করেন। এ ছাড়া মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র সুরক্ষা নিয়েও তাঁরা কথা বলেন।
একই সঙ্গে উভয় নেতা করোনা মহামারিকালে বিশ্ব যে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে তাতেও একমত হয়েছেন।