দুর্নীতির মামলায় সু চির আরও ৬ বছরের কারাদণ্ড
দুর্নীতির চার মামলায় মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চিকে আরও ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন জান্তা শাসিত দেশটির একটি আদালত।
সোমবার ওই রায় ঘোষণা করা হয় বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান মিয়ানমারের এক কর্মকর্তা। যিনি সু চির বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবগত আছেন।
গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতায় ফেরে দেশটির সেনাবাহিনী। গ্রেপ্তার হন সু চি।
শান্তিতে নোবেল জয়ী ৭৭ বছরের সু চির বিরুদ্ধে অন্তত ১৮টি মামলা হয়েছে। ঘুষ গ্রহণ থেকে শুরু করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা ওই সব মামলায় সু চির সর্বোচ্চ ১৯০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
সু চি তাঁর বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
দুর্নীতি, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে উস্কানি, কোভিড মহামারির বিধিনিষেধ লঙ্ঘন এবং টেলিযোগাযোগ আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এর আগে সু চিকে আরও ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তিনি রাজধানীর একটি কারাগারে বন্দি আছেন।
সোমবার তাঁকে ‘দ্য ডাউ খিন কি ফাউন্ডেশনের’ তহবিল তছরুপের অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত করে কারাদণ্ডের এ সাজা দেওয়া হয় বলে জানান ওই কর্মকর্তা। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ বলে ওই কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি।
অভ্যুত্থানের পর সু চির দলের হাজার হাজার কর্মী-সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের নির্যাতন এমনকি হত্যাও করা হয়েছে। অনেকে কারাগারে বন্দি আছেন। যাকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ বলে বর্ণনা করেছে জাতিসংঘ।