দৈনিক লাখের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত, ফ্রান্সে কঠোর বিধিনিষেধ
করোনাভাইরাসের অতি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগে বিধিনিষেধ আরও কঠোর করার ঘোষণা দিয়েছে ফ্রান্স।
৩ জানুয়ারি থেকে দেশটিতে বাড়ি থেকে কাজ করার সুবিধা যাদের আছে তাদের জন্য তা বাধ্যতামূলক হচ্ছে। চার দেয়ালের ভেতর যে কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিতির সংখ্যাও দুই হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
শনিবার ফ্রান্সে এক লাখের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত হওয়ার পর বিধিনিষেধ কঠোর করার এ ঘোষণা এল। মহামারি শুরুর পর দেশটিতে আর কখনোই একদিনে এত রোগী শনাক্ত হয়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বিধিনিষেধে কড়াকড়ি আরোপ হলেও ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী নববর্ষের প্রাক্কালে কারফিউ দেননি।
সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির কারণে ইউরোপের অন্যান্য দেশেও বিধিনিষেধ কঠোর হচ্ছে; মহাদেশজুড়ে ওমিক্রনের বিস্তারও বাড়ছে।
ভ্যারিয়েন্টটি ডেলটার তুলনায় ‘কম মারাত্মক’ এবং আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির হার ৩০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ কম হতে পারে বলে বিভিন্ন গবেষণায় ইঙ্গিত মিললেও রোগী সংখ্যা বাড়লে তা হাসপাতালগুলোর উপরও চাপ বাড়াবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর নতুন বিধিনিষেধের কথা জানাতে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হওয়া ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জঁ ক্যাসটেক্স সাংবাদিকদের বলেছেন, চলতি মহামারিকে ‘শেষ নেই এমন চলচ্চিত্র’ মনে হচ্ছে।
আক্রান্ত রোগীর ‘বিশাল ঢেউ’ দেখা যেতে পারে সতর্ক করে দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, ফ্রান্সে প্রতি দুইদিনে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দ্বিগুণ হচ্ছে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, দেশটিতে চার দেওয়ালের বাইরের জমায়েতেও পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ থাকতে পারবে না।
দূরপাল্লার পরিবহনে খাওয়া ও তরল কিছু পান করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নাইটক্লাবগুলো বন্ধই থাকছে; ক্যাফে ও বারে কেবল টেবিলে বসে খাওয়ার অনুমোদন থাকছে।
ঘরে থেকে কাজ করা কর্মীদের সপ্তাহে অন্তত তিনদিন এভাবেই কাজ চালাতে হবে; শহরের কেন্দ্রস্থলে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরতে হবে।
বুস্টার ডোজ নেওয়ার সময়সীমাও দ্বিতীয় ডোজের পর চার মাস থেকে কমিয়ে তিন মাস করেছে ফ্রান্সের সরকার।