নতুন সরকার ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে তালেবান
আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় পর দেশে ২০ বছরের যুদ্ধের বিশৃঙ্খল পরিসমাপ্তি এবং টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থার মধ্যেই নতুন সরকার ঘোষণার প্রস্তুতি নিচ্ছে তালেবান।
নতুন সরকার ঘোষণা করতে রাজধানী কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে বলে স্যোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন তালেবান নেতা আহমাদুল্লাহ মুত্তাকি।
ওদিকে তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, তিনি সঠিক দিনক্ষণ বলতে পারছেন না। তবে সরকার ঘোষণা কয়েকদিনের ব্যাপার মাত্র।
তালেবানের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা গতমাসে বলেছিলেন, নতুন শাসন পরিচালনাকারী কাউন্সিলের ওপর চূড়ান্ত ক্ষমতা থাকতে পারে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা।
আখুন্দজাদার তিন ডেপুটি বা উপনেতা আছেন। তাদের একজন, মোল্লা ইয়াকুব। তিনি তালেবানের প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা ওমরের ছেলে। আরেকজন হচ্ছেন, সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতৃত্বে আছেন তিনি। আর তৃতীয়জন হচ্ছেন, তালেবানের অন্যতম সহপ্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারদার।
সরকারে তিনজনই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন বলে মনে করা হচ্ছে। সংঘাত বিধ্বস্ত এবং খরা পীড়িত আফগানিস্তানের অর্থনীতির জন্য আন্তর্জাতিক দাতাদের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদের চোখে নতুন আফগান সরকারের বৈধতার বিষয়টি হবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যেসব বিদেশি এবং আফগান দেশ ছেড়ে যেতে পারেনি তাদের জন্য একটি সেফ প্যাসেজের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি তালেবান দিয়েছে। কিন্তু কাবুল বিমানবন্দর বন্ধ থাকায় অনেকেই সীমান্ত পেরিয়ে পাশের দেশগুলোতে ঢোকার চেষ্টায় আছেন।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, তালেবানের সঙ্গে কাতারের আলোচনা চলছে এবং কাবুল বিমানবন্দর আবার সচল করতে কারিগরি সহায়তা দেওয়া নিয়ে তুরস্কের সঙ্গেও কাজ চলছে। বিমানবন্দর চালু হলে মানবিক সহায়তা পাওয়া এবং মানুষকে দেশ ছেড়ে যেতে দেওয়াও সহজ হবে।
দোহায় কাতারের মন্ত্রীর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক তৃতীয় একটি দেশের মধ্য দিয়ে সেফ প্যাসেজের ব্যবস্থা করার জন্য আঞ্চলিক দেশগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, কাবুল বিমানবন্দর সচল করা এবং বিদেশি নাগরিকদের জন্য সেফ প্যাসেজ এবং সীমান্ত এলাকায় আফগানদের বিষয়টি আলোচনার শীর্ষে আছে।