নিউজিল্যান্ডে তৃতীয় দফায় শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত
নিউজিল্যান্ড উপকূলীয় এলাকায় তৃতীয় দফায় শক্তিশালী ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। এর জেরে সেখানে সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সে সতর্কতা তুলে নেওয়া হয়েছে। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় তিনবার এবং শেষবার সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ১ মাত্রায় ভূমিকম্পের কারণে নর্থ আইল্যান্ড উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে নিরাপদ স্থানে যেতে বলা হয়। ওই এলাকায় সুনামি সতর্কতা জারি করে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা।
তিনটি ভূমিকম্পের প্রতিটিই সাত মাত্রার ওপরে। সর্বশেষ তৃতীয়টি শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৮টায় সর্বোচ্চ ৮ দশমিক ১ মাত্রায় জনবসতিহীন কেরমাডেক আইল্যান্ড এলাকায় আঘাত হানে। নিউজিল্যান্ডের উপকূল থেকে এক হাজার কিলোমিটার উত্তরপূর্বে কেরমাডেক আইল্যান্ডের অবস্থান।
সতর্কতা ও ভূমিকম্পের খবরে দ্রুত উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিতে গিয়ে কয়েকটি শহরের বাসিন্দারা হুড়োহুড়ি করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডেন টুইট করে বলেছেন, ‘আশা করছি সেখানকার মানুষজন ঠিক আছেন।’
স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুরে দুর্যোগ সংস্থা জানিয়েছে, ভূকম্পনের বড় ঢেউ অতিবাহিত হয়ে গেছে। বাসিন্দারা ঘরে ফিরে যেতে পারেন। কিন্তু সমুদ্র সৈকতে অবস্থান করা যাবে না।
অস্ট্রেলিয়াঘেঁষা দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় দুই দেশ নিউ ক্যালেডোনিয়া ও ভানুয়াতুকে ভয়াবহ ঢেউয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা বলা হয়েছে। এসব দেশে ১০ ফুট উচ্চতার ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে।
এ ছাড়া পেরু, ইকুয়েডর ও চিলিসহ দক্ষিণ আমেরিকার আংশিক এলাকার উপকূলে এমন ১০ ফুট উচ্চতার ঢেউ আঘাত হানতে পারে বলে সতর্কতায় বলা হয়েছে।
হাওয়াইভিত্তিক প্যাসিফিক সুনামি সতর্কতা কেন্দ্র বলেছে, সুনামির ঢেউ দেখা গেছে। তবে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
মাত্র গত সপ্তাহে ক্রাইস্টচার্চের ভয়াবহ ভূমিকম্পের এক দশক পার করল নিউজিল্যান্ড। ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে ক্রাইস্টচার্চ শহরের বহু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ১৮৫ জনের মৃত্যু হয়।