নেতৃত্বের ব্যর্থতায় লকডাউনে ডাউনিং স্ট্রিটে পার্টি : সু গ্রে
মহামারি শুরুর পর গত বছরের প্রথমভাবে গোটা ব্রিটেন যখন কড়া লকডাউনের বিধিনিষেধে আটকা, তখন ডাউনিং স্ট্রিটে খোদ প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির বাগানে মদের পার্টি আয়োজনের পেছনে ‘নেতৃত্বের ব্যর্থতা’ দেখছেন ব্রিটিশ কেবিনেট অফিসের তদন্ত দলের প্রধান সু গ্রে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, যুক্তরাজ্যের এই জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা সোমবার তাঁর দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রতিবেদনে লকডাউনের বিধিভঙ্গের প্রমাণ পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কিছু অনুষ্ঠান সে সময় হয়েছিল, যেগুলোর অনুমতি দেওয়া ‘উচিত হয়নি’।
ওই পার্টির আয়োজন নিয়ে পার্লামেন্টে সমালোচনার মুখে থাকা প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি এ অনুসন্ধানের ফল পুরোপুরি মেনে নিচ্ছেন। অবশ্য বিরোধীদলের পদত্যাগের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে এর আগে তিনি বলেছিলেন, ‘কোনও নিয়মই ভঙ্গ হয়নি’।
২০২০ সালের মে মাসে লকডাউনের বিধি ভেঙে ডাউনিং স্ট্রিট এবং বিভিন্ন সরকারি অফিসে পার্টি এবং তার কোনো কোনোটিতে খোদ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের অংশগ্রহণের খবর নিয়ে গত বছরের শেষ দিকে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যমে শোরগোল শুরু হয়।
বিষয়গুলো তদন্তের জন্য গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যের কেবিনেট সেক্রেটারি সিমন কেইসকে দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। কিন্তু কেবিনেট অফিসেই সেরকম একটি আয়োজন হয়েছিল- এমন ইঙ্গিত মেলার পর সিমন কেইস তদন্ত থেকে সরে দাঁড়ান এবং আরেক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সু গ্রেকে তদন্তের দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়।
জ্যেষ্ঠ এই কর্মকর্তা ১৬টি আলাদা জনসমাগমের ঘটনার তদন্ত করেছেন - যার তিনটির বিষয়ে সাধারণ মানুষ আগে জানতে পারেনি।
সু গ্রের অনুসন্ধান প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কোভিড বিধিভঙ্গের এসব ঘটনার মধ্যে আটটি আলাদা তারিখের ১২টি ঘটনার বিষয়ে লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ তদন্ত করছে।
এসব ঘটনার মধ্যে ২০২০ সালের ২০ মে ডাউনিং স্ট্রিটের বাগানে আয়োজিত ‘ব্রিং ইওর ওউন বুজ’ পার্টি রয়েছে, যেখানে অংশগ্রহণ করার জন্য প্রধানমন্ত্রী জনসন এরইমধ্যে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। ওই বছর ১৯ জুন আয়োজিত প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানও রয়েছে এ তালিকায়।
এ ছাড়া জনসনের ডাউনিং স্ট্রিটের বাড়িতে ২০২০ সালে ১৩ নভেম্বরের একটি জমায়েতের ঘটনা রয়েছে পুলিশের তদন্তের মধ্যে।