পরকীয়া : ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ
ভাড়াটে খুনি দিয়ে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক নারীর বিরুদ্ধে। এ হত্যাকাণ্ড ঘটানোর জন্য ভাড়াটে খুনিকে ছয় লাখ রুপি দেন ওই নারী।
গত ১৭ মে এক ব্যক্তিকে হত্যার অভিযোগ পাওয়ার পর ওই নারীসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্ত শেষে গত বৃহস্পতিবার ঘটনাটি প্রকাশ করে ভারতীয় পুলিশ।
পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ওই নারীর অনলাইনে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে ২৯ বছর বয়সি এক যুবকের সঙ্গে। সেই সম্পর্ক স্থায়ী করতে এমন ঘটনা ঘটান অভিযুক্তরা।
কেন্দ্রীয় ডেপুটি কমিশনার শ্বেতা চৌহান জানান, অভিযুক্তরা হলেন—৪৯ বছর বয়সি জেবা কুরেশি, তাঁর কথিত প্রেমিক ২৯ বছর বয়সি শোয়েব এবং ভাড়াটে খুনি বিনীত গোস্বামী।
ওই নারীর স্বামী নিহত মইনুদ্দিন কুরেশি ছিলেন একটি ওয়ার্কশপের মালিক। পরকীয়ার জেরে স্বামী মইনুদ্দিনকে হত্যা করানোর মাধ্যমে দীর্ঘ ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের নির্মম ইতি টানলেন জেবা কুরেশি। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।
দরিয়াগঞ্জে গত ১৭ মে মইনুদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পরে এ হত্যার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিহতের ভাই রুকুনুদ্দিন। এরপর অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জেবা কুরেশি পুলিশকে জানান, ২৫ বছর আগে অল্প বয়সে কুরেশির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁদের সংসারে দুই ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, কুরেশি প্রায় মদ্যপান করতেন এবং ভবঘুরে স্বভাবের ছিলেন। তিনি ডিভোর্স দিতেও চেয়েছিলেন।
জেবা কুরেশি জানান, দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে শোয়েবের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয় এবং তাঁরা দেখা করেন। অভিযুক্ত জেবা বলেন, তিনি শোয়েবকে বিয়ে করতে চান। ফলে তাঁর স্বামীকে খুন করতে শোয়েবকে প্ররোচিত করেছিলেন। এরপর শোয়েব বিনীত গোস্বামীকে ভাড়া করেন এবং চুক্তি করেন ছয় লাখ রুপির বিনিময়ে কুরেশিকে হত্যা করার। এরপর তাঁরা দুজন মিলেই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
গত ১৭ মে বাইকে করে গিয়ে মইনুদ্দিনকে গুলি চালিয়ে পালায় অভিযুক্তরা। শোয়েব একজন ব্যবসায়ী। গোস্বামীর বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশে তিনটি মামলা রয়েছে বলেও জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।