পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি বসতি স্থাপন অবৈধ নয় : যুক্তরাষ্ট্র
ইসরায়েল অধিকৃত পশ্চিম তীরে নির্মিত বসতির বিষয়ে অবস্থান পাল্টেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখন থেকে এসব বসতিকে আর আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ হিসেবে দেখবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পশ্চিম তীর হচ্ছে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করে নেওয়ার বিষয়। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন পশ্চিম তীর বিষয়ে এমন অবস্থান নেওয়ার মাধ্যমে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সময়কার অবস্থান থেকে উল্টো দিকে সরে এলো। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরায়েল।
১৯৬৭ সালের মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের (আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ) সময় পশ্চিম তীরের দখল নিয়ে সেখানে আবাসন স্থাপন প্রক্রিয়া শুরু করে ইসরায়েল।
এর পর থেকেই এই ভূখণ্ড নিয়ে ইসরায়েল, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বিবাদ চলছে।
মাইক পম্পেও সাংবাদিকদের বলেন, “আইনি লড়াইয়ের সব দিক সতর্কভাবে পর্যালোচনার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে ‘পশ্চিম তীরে ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের জন্য নির্মিত আবাসন আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ নয়’।”
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘(পশ্চিম তীরে) বেসামরিক আবাসন নির্মাণকে আন্তর্জাতিক আইনের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ বলাটা কোনো কাজে দেয়নি। শান্তি প্রক্রিয়ায় এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি।’
এদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তকে ঝুঁকিপূর্ণ বলেছেন প্রধান ফিলিস্তিনি মধ্যস্থতাকারী সায়েব এরেকাত। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্ত বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা ও শান্তির জন্য ঝুঁকি। সায়েব এরেকাত আরো বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান আন্তর্জাতিক আইনের পরিবর্তে এ অঞ্চলে ‘জঙ্গলের আইন’ জারির হুমকির মুখে পড়ল।
পশ্চিম তীর বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, মার্কিন নীতির এমন পরিবর্তন ‘একটি ঐতিহাসিক ভুলকে ঠিক করল’। অন্য দেশগুলোকেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো একই অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী।