পশ্চিম তীরে স্থায়ী বসতি : ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা যুক্তরাষ্ট্রের
পশ্চিম তীরের এক ফাঁড়িতে ইহুদিদের স্থায়ী বসতি গড়ার সুযোগ দেওয়ায় ইসরায়েলের কঠোর সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র৷ হোমেস নামের ওই ফাঁড়িতে এমন সিদ্ধান্ত না নিতে এর আগে ইসরায়েলকে সতর্ক করেছিল যুক্তরাষ্ট্র৷
‘দ্য টাইমস অব ইসরায়েল’ পত্রিকা জানায়, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান গত বৃহস্পতিবার (১৮ মে) এক আদেশে সই করেন৷ এতে ইসরায়েলিদের হোমেস ফাঁড়িতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়৷ এর মাধ্যমে সেখানে আনুষ্ঠানিকভাবে বসতি নির্মাণের সুযোগ দেওয়া হলো বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি৷
ফিলিস্তিনের সঙ্গে উত্তেজনা বাড়াতে পারে এমন সিদ্ধান্ত না নিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ইসরায়েলকে বারবার অনুরোধ করেছে৷ বিশেষ করে হোমেস ফাঁড়িতে কিছু না করতে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল৷
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘‘পশ্চিম তীরের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত হোমেস ফাঁড়িতে স্থায়ী বসতি নির্মাণের অনুমতি দেওয়া সংক্রান্ত ইসরায়েল সরকারের আদেশে আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন৷ ইসরায়েলের আইন অনুযায়ী ওই এলাকাটি ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে গড়ে উঠেছে৷”
মিলার আরও বলেন, “ওই আদেশ ২০০৪ সালে ইসরায়েল সরকারের করা অঙ্গীকার এবং অতি সম্প্রতি বাইডেন প্রশাসনের কাছে করা অঙ্গীকারের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ৷”
এই বিষয়ে ওয়াশিংটনে ইসরায়েলের দূতাবাসের কাছে জানতে চাইলে এখনও উত্তর পাওয়া যায়নি৷ তবে ইসরায়েলের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “ওই আদেশের উদ্দেশ্য হোমেসে থাকা একটি ধর্মীয় স্কুলে ইসরায়েলিদের যাওয়ার অনুমতি দেওয়া৷ ওই জায়গাটি নতুন করে গড়ে তোলার কোনো ইচ্ছা ইসরায়েল সরকারের নেই।”
এছাড়া ফিলিস্তিনিদের ব্যক্তিগত ভূমিতে ইসরায়েলিদের থাকতে অনুমতি দেওয়ারও ইচ্ছা নেই বলে জানান ইসরায়েলি ওই কর্মকর্তা৷
ইসরায়েলের নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রী ইটামার বেন গেভির গত রোববার (২১ মে) আল আকসা মসজিদে গিয়ে ঘোষণা করেন, এর দায়িত্বে এখন ইসরায়েল৷
এমন ‘উসকানিমূলক সফর’ এবং ‘সেই সঙ্গে উত্তেজনামূলক বক্তব্য’ নিয়েও ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন বলে জানান মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মিলার৷