পাওয়ার গ্রিডে ব্যাপক হামলা, অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছে ইউক্রেন
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ বাহিনী ইউক্রেনের ‘পাওয়ার গ্রিডকে’ লক্ষ্য করে ‘ব্যাপক হামলা’ শুরু করেছে।
জেলেনস্কি জানান, নতুন আক্রমণগুলো ‘খুব বিস্তৃত’ পরিসরে ছিল। এগুলো ইউক্রেনের পশ্চিম, কেন্দ্র, দক্ষিণ এবং পূর্বাঞ্চলে করা হয়েছে। এসব হামলার ফলে প্রায় ১৫ লাখ পরিবার বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
ইউক্রেনকে অন্ধকারে ডুবিয়ে দিতেই দেশটির আরো কয়েকটি ‘পাওয়ার গ্রিডে’ বিমান হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
গত সপ্তাহের সোমবার থেকে ইউক্রেনের পাওয়ার স্টেশনগুলোতে বিমান হামলা শুরু করে রাশিয়া। এরই মধ্যে দেশটির প্রায় একতৃতীয়াংশ পাওয়ার স্টেশন ধ্বংস হয়ে গেছে বলে জানায় বিবিসি।
শনিবার ইউক্রেনের কর্মকর্তারা জানান, রুশ বাহিনী রাজধানী কিয়েভের দক্ষিণ-পূর্বে চেরক্সি অঞ্চলের ‘গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোতে’ হামলা করেছে। স্মিলা শহরের কাছে বড় ধরণের অগ্নিকাণ্ডের খবরও পাওয়া গেছে।
দেশটির একেবারে পশ্চিমের খমেলনিৎস্কি নগরী পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ওদেসা থেকেও বিমান হামলা এবং বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার খবর এসেছে।
ইউক্রেনের বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা রাজধানী কিয়েভসহ দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ সীমিত করতে বাধ্য হয়েছে।
প্রায় আট মাস আগে শুরু হওয়া যুদ্ধে গত বৃহস্পতিবারই প্রথম ইউক্রেন সরকার বিদ্যুৎ সাশ্রয়ে জনগণের উপর এর ব্যবহার সীমিত করার বিধি আরোপ করে।
সম্প্রতি ইউক্রেনের উপর আকাশ হামলা বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার সকালেও হামলা অব্যাহত ছিল এবং ইউক্রেনের বিমান বাহিনী দাবি করেছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা রাশিয়ার ১৮টি ক্রুজ মিসাইল ধ্বংস করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ আন্দ্রি ইয়ারমাক বলেন, ‘রাশিয়া এখন সম্মুখ যুদ্ধক্ষেত্রের পেছনে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনে ইউক্রেনের ভূখণ্ডের মুক্তি বন্ধ করার আশায় আছে। কিন্তু, তাদের সে আশা পূরণ হবে না। বরং এই হামলাগুলো কেবল আরও শক্তিশালী প্রতিক্রিয়ার দিকে নিয়ে যাবে।’