পাকিস্তানে তেহরিক-ই-লাব্বাইকের বিক্ষোভে চার পুলিশ নিহত, আহত ২৫০
পাকিস্তানে নিষিদ্ধঘোষিত উগ্র ডানপন্থি দল তেহরিক-ই-লাব্বাইকের (টিএলপি) বিক্ষোভ দমনে মাঠে নামানো হচ্ছে সুপ্রশিক্ষিত রেঞ্জার্স সদস্যদের। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ রশিদ ঘোষণা দিয়েছেন, পরবর্তী ৬০ দিন পাঞ্জাবে বিপুল সংখ্যক রেঞ্জার্স মোতায়েন থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে।
গত শুক্রবার টিএলপির কয়েক হাজার কর্মী ইসলামাবাদের দিকে লং মার্চ শুরু করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। সেদিন দুই পুলিশ সদস্য প্রাণ হারান। বুধবারও পুলিশ-টিএলপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মোট চার পুলিশ সদস্য নিহত ও অন্তত ২৫০ জন আহত হয়েছে।
পাঞ্জাব পুলিশের এক মুখপাত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, টিএলপি কর্মীরা পুলিশের বিরুদ্ধে এসএমজি, একে৪৭ ও পিস্তলের মতো অস্ত্র ব্যবহার করেছে।
এর পরপরই মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক ডাকেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। শোনা যায় সেখানে তিনি বলেছেন, টিএলপিকে কোনোভাবেই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে চ্যালেঞ্জ জানাতে দেওয়া হবে না। বৈঠক শেষে পাকিস্তানি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পাঞ্জাবে রেঞ্জার্স নামানোর ঘোষণা দেন।
গত কয়েকদিনে পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার সংঘর্ষ হলেও এতে টিএলপির কেউ হতাহত হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করা হয়নি। নিষিদ্ধঘোষিত দলটির সমর্থকেরা পাঞ্জাবের গুজরানওয়ালা জেলায় ঘাঁটি গেড়েছে এবং তাদের নেতারা বারবার বলছেন, যত বাধাই আসুক, তারা ইসলামাবাদ অভিমুখে লং মার্চ চালিয়ে যাবেন।
এ অবস্থায় বিক্ষোভকারীদের সামনে সশস্ত্র রেঞ্জার্স সদস্যদের দাঁড় করিয়ে দেওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে পাকিস্তানজুড়ে। যেকোনো সময় পরিস্থিতি আরও সহিংস হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী উসমান বুজদার টুইট করে জানিয়েছেন, টিএলপি কর্মীদের গুলিতে চার পুলিশ কর্মী শহীদ হয়েছেন। সহিংসতায় আরও ২৫৩ জন আহত হয়েছেন। তিনি আরও বলেন, সহিংসতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।