পাকিস্তানে নতুন আইন পাস, ক্ষমতা কমবে প্রধান বিচারপতির
অর্থনৈতিক দুরাবস্থায় থাকা পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত নিয়ে নতুন একটি আইন পাস হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট প্রাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিওর নামের পাসকৃত আইনটি গতকাল শুক্রবার থেকে কার্যকর হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরে তর্ক-বিতর্কের পর এদিনেই শেহবাজ শরিফের সরকার আইনটি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে। এতে দেশটির প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা কমে যাবে। পাকিস্তানের দৈনিক পত্রিকা ডনের বরাতে আজ শনিবার (২২ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
এক বিবৃতিতে পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের মুখপাত্র বলেন, ‘পার্লামেন্টের সচিব আইনটির গেজেট ছাপানোর জন্য প্রিন্টিং করপোরেশনকে নির্দেশ দিয়েছেন। ইতোমধ্যে আইনটি সকল ধাপ শেষ করেছে। এখন সুপ্রিম কোর্ট প্রাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিওর আইনটি বাস্তবায়িত হবে।’
নতুন আইন নিয়ে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারকের স্থগিতাদেশ সত্ত্বেও পার্লামেন্ট থেকে এটি গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, পাকিস্তানের প্রধান বিচারকের কাছে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষমতা ছিল। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার ক্ষমতা ছিল তার হাতে। জনস্বার্থে বা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন হয় এমন ইস্যুগুলোতে প্রধান বিচারপতি হস্তক্ষেপ করতে পারত। তবে, শেহবাজ শরীফ নেতৃত্বাধীন সরকার প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা কমানোর বিলটি পাস করেছে, যা এখন আইনে পরিণত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের অভিযোগের পরই আইনটি পাস হয়েছে। তাদের অভিযোগ ছিল, প্রধান বিচারপতির হস্তক্ষেপ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করছে। এর আগে পাকিস্তানের নিম্নকক্ষ পার্লামেন্টেও আইনটি পাস হয়।
এদিকে, দ্বিতীয়বারের মতো পাকিস্তানি প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভী নতুন পাসকৃত বিলটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এ সত্ত্বেও গত ১০ এপ্রিল আইনটি পার্লামেন্টে পাস হয়। পাকিস্তানের সংবিধানের ৭৫(২) ধারায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাকটিস অ্যান্ড প্রসিডিওর আইনটি থাকবে।