বন্ধুদের সঙ্গে ভিডিও বানাচ্ছিলেন আয়েশা আকরাম নামের এক নারী টিকটকার। আচমকা তাদের ওপর হামলে পড়ে কয়েকশ মানুষ। তারা ওই নারীকে টানাহেঁচড়া করতে থাকে। কয়েকজন তাঁকে শূন্যে তুলে ফেলে, এমনকি কাপড়-চোপড়ও ছিঁড়ে ফেলা হয়।

এ সময় কয়েকজন পথচারী ওই নারীকে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও তা অসম্ভব হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত প্রাণে বেঁচে গেছেন ভুক্তভোগী নারী। তবে শারীরিক ও মানসিকভাবে মারাত্মক হয়রানির শিকার হতে হয়েছে তাঁকে।

সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, গত ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে লাহোরে ঘটেছে এ ঘটনা। এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে ওই ঘটনার ভিডিও।

থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ওই নারী টিকটকার ছয় সঙ্গীসহ মিনার-ই-পাকিস্তানের কাছে ভিডিও বানাচ্ছিলেন। এমন সময় ৩০০-৪০০ লোক তাদের ওপর আক্রমণ করে।

ভুক্তভোগী আয়েশা আকরাম বলেন, ‘ভিড় ছিল বিশাল। মানুষজন জায়গাটি ঘিরে ফেলে আমাদের দিকে আসতে থাকে। একসময় তারা আমাকে টানতে, ধাক্কা দিতে দিতে কাপড়-চোপড় ছিঁড়ে ফেলে।’

আয়েশা আকরাম জানান, এমন বিপদের মুহূর্তে কয়েকজন তাঁকে সাহায্যের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিশাল ভিড়ের সঙ্গে তারা পেরে ওঠেননি। পরে আক্রমণকারীরা তাঁকে শূন্যে ছুড়তে থাকে।

এ সময় ওই নারীর কানের দুল, আংটি, এক সঙ্গীর মোবাইল ফোন, পরিচয়পত্র ও ১৫ হাজার রুপি ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন লাহোর পুলিশের ডিআইজি সাজিদ কিওয়ানি। অজ্ঞাত কয়েকশ জনের বিরুদ্ধে হয়রানি ও চুরির অভিযোগে মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাকিস্তানিদের মধ্যে টিকটক বেশ জনপ্রিয়। ‘অশ্লীল কনটেন্ট’ প্রচারের দায়ে দেশটিতে বেশ কয়েকবার নিষিদ্ধ করা হয়েছে চীনা অ্যাপটি।