পার্লামেন্টে ধর্ষণের শিকার নারীর কাছে ক্ষমা চাইলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ভবনে ধর্ষণের শিকার এক রাজনৈতিক কর্মীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। মঙ্গলবার দেশটির পার্লামেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা চাওয়া হয়। ব্রিটানি হিগিন্স নামের ওই নারী ছাড়াও দেশটির পার্লামেন্টে আরও যারা যৌন নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাঁদের কাছেও ক্ষমা চাওয়া হয়। খবর বিবিসি ও আল জাজিরার।
পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, ‘আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। এখানে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ঘটনাগুলোর জন্য আমি মিসেস হিগিন্সের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। যে জায়গাটি নিরাপত্তাপূর্ণ জায়গা হওয়ার কথা ছিল, তা একটি দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি সবকিছুর জন্যই দুঃখিত। মিসেস হিগিন্স এবং তাঁর আগে...যারা এখানে নিপীড়িত হয়েছেন তাঁদের কথা বলার সাহস ছিল বলেই আজ আমরা এখানে আসতে পেরেছি।’
এ সময় হিগিন্স, দেশটির দুই মন্ত্রীর সাবেক কর্মী, বিরোধীদলীয় নেতা এবং অন্যান্যরা হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের পাবলিক গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন।
ব্রিটানি হিগিন্স অভিযোগ করেন, পার্লামেন্ট ভবনে তাঁরাই এক সহকর্মী দ্বারা ধর্ষণের শিকার হন। পরে তিনি মামলা দায়ের করলে, তাঁর মামলাটি দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়। মামলায় অভিযোগ করা হয় দেশটির পার্লামেন্টে একটি ‘বয়েজ ক্লাব’ সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে যেখানে নারীদের ব্যাপকহারে যৌন হয়রানি করা হয়।
সে সময় হিগিন্সের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপরাধের বিচার চেয়ে এবং তাঁর পাশে দাঁড়াতে কয়েক হাজার মানুষক রাস্তায় নেমে বিক্ষোভে করেছিলেন।