পেগাসাস নিয়ে সাংসদের প্রশ্ন রাজ্যসভায় চাচ্ছে না ভারত সরকার
ইসরায়েলি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপ সংক্রান্ত একটি প্রশ্ন খারিজের আবেদন জানিয়ে রাজ্যসভার সচিবালয়কে চিঠি লিখেছে ভারত সরকার। সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
এনএসও গ্রুপের তৈরি নজরদারি করার সফটওয়্যার ‘পেগাসাস’ নিয়ে ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয়কক্ষ প্রতিদিনই উত্তাল হচ্ছে। এই আবহে পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষে একজন সাংসদ (এমপি) প্রশ্ন করেন যে, সরকার ইসরায়েলি সাইবার সুরক্ষা সংস্থা এনএসও থেকে পেগাসাস সফটওয়্যার কিনেছে কি না? সেই প্রশ্নটি খারিজ করার জন্য আবেদন জানিয়েছে সরকার। নথি দেখে হিন্দুস্তান টাইমস জানতে পেরেছে, সরকারের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে বক্তব্য—পেগাসাস ইস্যুটি বিচারাধীন এবং এই পরিপ্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতে বহু জনস্বার্থ মামলা করা হয়েছে।
এর আগে সিপিআই(এম)-এর সাংসদ বিনয় বিশ্বম কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিলেন—ইসরায়েলি সংস্থা এনএসও থেকে সরকার পেগাসাস সফটওয়্যার কিনেছে কি না? এর পরিপ্রেক্ষিতে ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সচিবালয়কে জানানো হয়েছে—গত ১২ আগস্ট বিনয় বিশ্বমকে প্রশ্নের জবাব দেওয়া কথা ছিল, তবে এই প্রশ্ন যাতে রাজ্যসভায় অনুমোদন না দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে বিনয় বিশ্বম বলেন, ‘আমাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়েছে যে, আমার প্রশ্নের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। তবে, সরকারিভাবে সেটা এখনও আমাকে জানানো হয়নি। রাজ্যসভার নিয়মের অপব্যবহার করে সত্যকে এড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু, পেগাসাস নিয়ে তাদের প্রশ্নের মুখে দাঁড়াতেই হবে।’
ভারত সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যসভার সচিবালয়কে জানানো হয়েছে—রাজ্যসভার বিধিবিধানের ৪৭ (xix) নম্বর নিয়ম অনুযায়ী, আদালতে বিচারাধীন কোনো প্রশ্নের জবাব রাজ্যসভায় দেওয়া যাবে না।
অন্যদিকে, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল বৃহস্পতিবার বলেছেন, গণমাধ্যমের খবর যদি সত্যি হয়, তাহলে পেগাসাস স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে বিরোধী নেতা, সাংবাদিক ও অন্যদের ওপর নজরদারি চালানোর অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর।
দুদিন আগে পেগাসাস নিয়ে পিটিশন দাখিল করেছিল এডিটর্স গিল্ড অব ইন্ডিয়া। তাদের অনুরোধ ছিল, স্পাইওয়্যার সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য এবং কাদের নিশানা করা হয়েছিল, তার বিস্তারিত সরকারের কাছে জানতে চাওয়া হোক। এর পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন দুই বিচারপতির বেঞ্চ সব পিটিশনারকে একটি করে প্রতিলিপি সরকারকে দিতে বলেছেন।