পেগাসাস শুধু সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করা হয় : ইসরায়েল
ফোনে আড়ি পাতার স্পাইওয়্যার ‘পেগাসাস’ বেসরকারি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই। ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলের নতুন রাষ্ট্রদূত নায়র গিলন গতকাল বৃহস্পতিবার নয়াদিল্লিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। খবর এনডিটিভির।
ইসরায়েলি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনএসও গ্রুপের এ স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের ৫০ হাজারের বেশি মানুষের মুঠোফোনের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে বা চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ তালিকায় ভারতের নামও রয়েছে।
এরই মধ্যে গত বুধবার পেগাসাস ব্যবহার করে অন্যায়ভাবে আড়ি পাতার তদন্তে দেশটির শীর্ষ আদালত বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত নায়র গিলনের কাছে পেগাসাসের ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়। এ সময় তিনি বলেন, এই স্পাইওয়্যার নিয়ে ভারতে যা হচ্ছে, তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলতে চাই না... এনএসও ইসরায়েলের একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানকে তাদের পণ্য রপ্তানি করতে সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। কেবল বাইরের দেশের সরকারের কাছে পণ্য বিক্রি করবে, এমন শর্তে আমরা তাদের লাইসেন্স দেই।’
এনএসওর তৈরি পেগাসাসের মাধ্যমে ভারত সরকার সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, বিচারপতি, রাজনৈতিক নেতাসহ বহু সাধারণ মানুষের ফোনে আড়ি পেতেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ ওঠার পর সরকার সংসদে জানিয়েছে, আইনবহির্ভূত কিছু করা হয়নি।
সম্প্রতি বিশ্বের প্রথম সারির ১৬টি দেশের সাংবাদিকদের এক সংগঠন তদন্ত শেষে জানায়, কীভাবে বিভিন্ন দেশের সরকার এই প্রযুক্তির সাহায্যে নাগরিকদের ওপর নজরদারি চালাচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদনে ভারতের অনেক বিচারপতি, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, সমাজসেবী ও রাজনৈতিক নেতার নাম উল্লেখ করা হয়েছে; যাঁদের ফোনে ওই সফটওয়্যারের সাহায্য আড়ি পাতা হয়।