প্রতিশ্রুতি পূরণে তালেবানকে সময় দেওয়া উচিত : ইমরান খান
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, আফগানিস্তানে শান্তি এবং স্থিতিশীলতার জন্য সর্বোত্তম উপায় হলো, তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা এবং তাদেরকে অন্তর্ভূক্তিমূলক সরকার ও নারী অধিকারে উৎসাহিত করা।
বুধবার ইসলামাবাদে ব্যক্তিগত বাসভবন ‘বনি গালা’তে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাতৎকারে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্তর্ভূক্তিমূলক সরকার গঠন এবং প্রতিশ্রুতি পূরণে তালেবানকে সময় দেওয়া উচিত।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে ইমরান খানের এটাই প্রথম সাক্ষাৎকার।
এই সাক্ষাৎকারে ইমরান খান যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর দেশের ‘বিপর্যয়কর’ সম্পর্ক এবং বর্তমান আফগানিস্তান বিষয়ে বাস্তবমুখী সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেন, ‘তালেবান সমগ্র আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এখন যদি তারা অন্তর্ভূক্তিমূলক সরকার গঠন করতে পারে, সব পক্ষকে এক কাতারে নিয়ে আসতে পারে; তাহলে আফগানিস্তানে শান্তি ফিরবে। কিন্তু যদি এগুলো না হয়, তাহলে বিশৃঙখলা, মানবিক বিপর্যয় ও শরণার্থীর ঢল নামবে।’
ইমরান খান বলেন, সংকট এড়াতে তালেবান আন্তর্জাতিক সহায়তা খুঁজছে। এটা প্রদানের মাধ্যমে তাদেরকে সঠিক লক্ষ্যে নেওয়া যেতে পারে। তবে আফগানিস্তানকে কোনো বহির্শক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না বলেও সতর্ক করেন তিনি।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো পুতুল সরকারকে আফগান জনগণ সমর্থন করে না।’ তিনি বলেন, “সুতরাং ‘আমরা নিয়ন্ত্রণ করব’ এই চিন্তা দূরে রেখে তাদেরকে উৎসাহিত করা উচিত।” আফগানিস্তানের বর্তমান সরকার বুঝতে পারছে আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া তারা সংকাট কাটিয়ে উঠতে পারবে না। সুতরাং আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর উচিত- সহাতায়র মাধ্যমে তাদেরকে সঠিক পথে নিয়ে যাওয়া।
আফগান নারীদের অধিকারের বিষয়ে ইমরান খান বলেন, ‘কেউ বাইরে থেকে তাদেরকে অধিকার দেবে এই চিন্তা করা করা ভুল। আফগান নারীরা শক্তিশালী। তারা তাদের অধিকার পাবে। এর জন্য তালেবানকে উৎসাহিত করতে হবে।’