প্রশান্ত হালদারসহ পাঁচজন ১০ দিনের রিমান্ডে
বাংলাদেশে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে গিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার চার সঙ্গীকে ১০ দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। গ্রেপ্তার ছয় জনের মধ্যে একমাত্র নারীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
পি কে হালদারের তিন দিনের প্রথম দফা রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার সঙ্গের পাঁচজনসহ কলকাতার ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়। দুপুর দেড়টা নাগাদ তাদেরকে লকআপে আনা হয়।
প্রশান্ত কুমারসহ বাকিদের দশ দিনের হেফাজতের জন্য আবেদন জানিয়েছে। সেই আবেদন আদালত মঞ্জুর করে। আদালত প্রশান্ত হালদার ও বাকি চার পুরুষ আসামিকে ১০ দিনের ইডি হেফাজত এবং নারী আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারকে জেল হেফাজত দেওয়া হয়।
ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) পক্ষ থেকে পি কে হালদারসহ গ্রেপ্তার ছয় জনের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬৫ ও ১৯ (৩) ধারা অনুযায়ী ইডি রিমান্ড আবেদন করে।
ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী রিমান্ড আবেদন জানান। পাশাপাশি আবেদনে বলা হয়, বিধাননগর হাসপাতালের চিকিৎসক যেন ২৪ ঘণ্টা পরপর গিয়ে তাদের মেডিকেল চেকআপ করে আসে। কারণ, আসামিদের বারবার বের করা অসুবিধার।
আসামিপক্ষের আইনজীবী শেখ হায়দার আলী বলেন, ‘গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের ১০ দিন না দিয়ে চারদিন রিমান্ড দেওয়ার আবেদন জানানো হয়েছিল। তাদের শরীরে থাইরয়েডসহ অন্যান্য সমস্যা আছে। বিশেষ করে স্বপন মিত্রের অসুখ আছে।’
আদালত সে আবেদন নামঞ্জুর করে ১০ দিনের রিমান্ড দেন।
গত শুক্রবার সকাল থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোকনগরে সুকুমার মৃধা নামের পি কে হালদারের এক ঘনিষ্ঠের তিন বাড়িতে অভিযান চালায় ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইডি। পরদিন শনিবার ছয় সহযোগীসহ গ্রেপ্তার হন পি কে হালদার। জানা গেছে, পি কে হালদার নাম পাল্টে শিবশংকর হালদার নামে পশ্চিমবঙ্গে থাকতেন।
২০০২ সালের ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ)’-এ পি কে হালদারের সঙ্গে গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন—প্রাণেশ কুমার হালদার, স্বপন মিত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে উত্তম মিস্ত্রি, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার এবং আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদার।
গ্রেপ্তারের পর ছয় জনকে গত শনিবার বিশেষ আদালতে তোলা হলে পি কে হালদারসহ পাঁচজনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। পি কে হালদারের তিনদিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়। আর এ সময় একজনকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পি কে হালদারের সেই তিন দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছে।
প্রাথমিক তদন্তে ইডি জানতে পেরেছে—বাংলাদেশ ও ভারতীয় পাসপোর্টের পাশাপাশি পি কে হালদারের আফ্রিকার দেশ গ্রানাডার পাসপোর্ট ছিল।