প্রাদেশিক উপনির্বাচনে ইমরান খানের জনপ্রিয়তা পরীক্ষার সম্মুখীন
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সপ্তাহান্তে দেশের সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশের ২০টি আসনের উপনির্বাচনে জনপ্রিয়তা পরীক্ষার মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন। ইমরান খান গত এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে পদচ্যুত হওয়ার পর থেকে আগাম নির্বাচনের জন্য দেশজুড়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। তবে, পাঞ্জাবে রোববারের ভোটকে আগামী বছরের অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠেয় জাতীয় নির্বাচনের জন্য পরীক্ষা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের সদস্যরা আনুগত্য পরিবর্তন করার পর ইমরান খানের অনুরোধে নির্বাচন কমিশন তাদের অযোগ্য ঘোষণা করার ফলে পাঞ্জাবের ২০টি আসন শূন্য হয়ে যায়। প্রদেশে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর এখন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের ছেলে হামজা শরিফ সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ নির্বাচন ইমরান খানকে জনসমর্থন বাড়াতে তার প্রচারণা কতটা ভালো করছে, তা অনুমান করার সুযোগ দেবে।
রাজনৈতিক ভাষ্যকার হাসান আসকারি এএফপিকে বলেন, “যদি তিনি বিজয়ী হন, তিনি বলবেন ‘জনগণ আমার সঙ্গে রয়েছে’ এবং নতুন নির্বাচনের জন্য চাপ বাড়াবেন।”
হাসান আসকারি আরও বলেন, ‘খান হারলে, অবশ্যই এটাকে কারচুপির নির্বাচন বলবেন।’
ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে ইমরান খান দেশজুড়ে জনসভায় দাবি করেছেন যে, মার্কিন নেতৃত্বাধীন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পাকিস্তানের উপর সরকার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি বর্তমান সরকারকে মূল্যস্ফীতির জন্য দায়ী করেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন, শরীফ উত্তরাধিকারসূত্রে দেশের অর্থনৈতিক দুর্দশা পেয়েছেন।
শরীফের পাকিস্তান মুসলিম লীগ-এন পার্টিকে পাঞ্জাবের সরকার নিয়ন্ত্রণের জন্য কমপক্ষে ২০টি আসনের অর্ধেক জিততে হবে। অন্যথায় তাদেরকে সম্ভবত পিটিআই ও তার সহযোগীদের কাছে বিধানসভার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিতে হবে।