ফের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া
নতুন বছর শুরু হওয়ার পর উত্তর কোরিয়া এক সপ্তাহের মধ্যে ফের আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ (জেসিএস) এক বিবৃতিতে বলেছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ২৭ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণ শনাক্ত হয়, যেটি সম্ভবত একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। উত্তর কোরিয়ার একটি এলাকা থেকে পূর্ব উপকূলের সাগরের দিকে ছোড়া হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্রটি।
বারবার ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণে ওই অঞ্চল অস্থিতিশীল হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ছে অভিযোগ করে এর নিন্দা করেছে দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি) জরুরি বৈঠক করে এ উৎক্ষেপণে ‘গভীর হতাশা’ প্রকাশ করেছে। যখন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তখন এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হল বলে মন্তব্য করেছে তারা।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ব্লু হাউস এক বিবৃতিতে বলেছে, “এনএসসির সদস্যরা উত্তর কোরিয়ার প্রতি কোরীয় উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রত্যাশায় দ্রুত সাড়া দিয়ে ফের আলোচনা ও সহযোগিতায় সম্মত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।”
এর আগে গত বুধবার আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছিল উত্তর কোরিয়া। সেটি একটি হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছিল বলে জানিয়েছে তারা।
উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন গত বছরের শেষ দিনে দেওয়া এক ভাষণে আন্তর্জাতিক ও কোরীয় উপদ্বীপের অস্থিতিশীল সামরিক পরিস্থিতির মুখে জাতীয় প্রতিরক্ষাকে শক্তিশালী করার ডাক দিয়েছিলেন। এসব ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা তার প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও বিশ্বশক্তি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা স্থবির হয়ে থাকার মধ্যেই দেশটি এসব পরীক্ষা চালাল।
জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যদি ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের স্বাভাবিক গতিপথ অনুসরণ করে তবে তাহলে এটি ৭০০ কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে উড়ে যাবে, উত্তর কোরিয়া সম্প্রতি স্বল্প-পাল্লার যে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে এটি তার মতোই হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতা করছে এবং পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখছে।