বাংলাদেশ থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে পালিয়ে গিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া প্রশান্ত কুমার হালদারসহ (পি কে হালদার) ছয় জনকে আরও ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজত বা কারা হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতার আদালত। আজ মঙ্গলবার পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা নগর আদালতের আওতাভুক্ত বিশেষ আদালতের বিচারক জীবনকুমার সাধু এ নির্দেশ দেন।

১৪ দিনের কারা হেফাজত শেষে পি কে হালদার ও তার পাঁচ সহযোগীকে আগামী ৫ জুলাই আদালতে পেশ করা হবে।

মঙ্গলবার ১২টার পরপরই স্পেশাল সিবিআই কোর্ট-৩-এ এই মামলায় মূল অভিযুক্ত পি কে হালদারের সহযোগী তার ভাই প্রাণেশ কুমার হালদার, ইমাম হোসেন ওরফে ইমন হালদার, স্বপন মৈত্র ওরফে স্বপন মিস্ত্রি, উত্তম মৈত্র ওরফে মিস্ত্রি, আমানা সুলতানা ওরফে শর্মী হালদারসহ বাকি পাঁচ অভিযুক্তকে তোলা হয়। কিন্তু উত্তম মৈত্র ও স্বপন মৈত্রের আইনজীবীরা উপস্থিত থাকলেও প্রায় ৪০ মিনিট সময় পেরিয়ে গেলেও ভারতের অর্থসংক্রান্ত সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী উপস্থিত না থাকায় বিচারক জীবন কুমার সাধু একসময় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সব শেষে ফের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন তিনি। সেক্ষেত্রে আগামী ৫ জুলাই ফের অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হবে। এই সময়কালে কারাগারে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

শেষবার গত ৭ জুন আদালতে তোলা হয় অভিযুক্তদের এবং তাদের প্রত্যেককেই ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন আদালত। সেই মেয়াদ শেষেই মঙ্গলবার ফের আদালতে তোলা হয়।

গত ১৪ মে অশোকনগর, কলকাতাসহ একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে পি কে হালদারসহ ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে ইডির কর্মকর্তারা। এরপর কয়েক দফায় রিমান্ড ও জেল হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে ইডির হাতে।