ফেলোশিপ নিয়ে হার্ভার্ডে যাচ্ছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী
চলতি বছরের শুরুর দিকে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর আসন থেকে সরে দাঁড়ানো জেসিন্ডা অরডার্ন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দিচ্ছেন। হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলে দুটি ফেলোশিপে সেখানে যাবেন তিনি। সেখানে নেতৃত্ব, সুশাসন ও অনলাইন চরমপন্থা নিয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি এসব বিষয়ে বক্তব্য দেবেন জেসিন্ডা। হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। খবর সিএনএনের।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ জানায়, হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের পাবলিক পলিসি অ্যান্ড গভর্নমেন্টে দ্বৈত ফেলোশিপ পেয়েছেন জেসিন্ডা।
কেনেডি স্কুলের ডিন ডগলাস এলমেনডর্ফ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, জেসিন্ডা আর্ডান বিশ্বকে শক্তিশালী এবং সহানুভূতিশীল রাজনৈতিক নেতৃত্ব দেখিয়েছেন। তিনি তার দেশের বাইরেও বিশ্বজুড়ে সম্মান অর্জন করেছেন। তিনি আমাদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টির জন্ম দিতে পারবেন।
শুধুমাত্র একটি সেমিস্টারের জন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেবেন জেসিন্ডা। কেনেডি স্কুলে ‘দ্য অ্যাঞ্জেলোপোলোস গ্লোবাল পাবলিক লিডারস’ ফেলো হিসেবে একটি কোর্সে শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
একই সময়ে হার্ভার্ড ল স্কুলের বার্কম্যান ক্লেইন সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটিতে একটি পৃথক ফেলোশিপ সম্পন্ন করবেন তিনি।
নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী এক ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নিজের নতুন দায়িত্বের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম এক পোস্টে জেসিন্ডা লিখেছেন, ‘হার্ভার্ডের কেনেডি স্কুলের সেন্টার ফর পাবলিক লিডারশিপ এবং ল স্কুলের বার্কম্যান ক্লেইন সেন্টার ফর ইন্টারনেট অ্যান্ড সোসাইটির যৌথ ফেলোশিপের মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান করতে গিয়ে নিজেকে অত্যন্ত সম্মানিত মনে করছেন। ল স্কুলে অনলাইন চরমপন্থা আর কেনেডি স্কুলে নেতৃত্ব ও সুশাসনের বিষয়ে দক্ষতা গড়ে তোলার ওপর অধ্যয়নে জোর দেব আমি।
২০১৭ সালে মাত্র ৩৭ বছর বয়সে নিউজিল্যান্ডের সরকার প্রধান হয়েছিলেন জেসিন্ডা। এরপর ২০২০ সালের নির্বাচনে ন্যাশনাল পার্টির প্রধান কলিন্সকে হারিয়ে আবার প্রধানমন্ত্রী হন লেবার পার্টির নেতা জেসিন্ডা আরডার্ন। সেটি ছিল নিউজিল্যান্ডের ৫৩তম পার্লামেন্ট নির্বাচন। দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর করোনা মহামারি, ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা ও হোয়াইট আইল্যান্ডে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো বড় বড় ঘটনা সামাল দিতে হয়েছে তাকে।