বাংলাদেশের কাছে সারা বিশ্বের অনেক কিছু শেখার আছে : স্টিফেন টুইগ
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সেক্রেটারি জেনারেল স্টিফেন টুইগ এমডিজি ও এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের সফলতার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের কাছে সারা বিশ্বের অনেক কিছু শেখার আছে। কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো আর্থসামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশ থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারে। তাই সিপিএ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করতে আগ্রহী।’
লন্ডনের সেন্ট জেমস কোর্ট হোটেলে বাংলাদেশের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় স্টিফেন টুইগ এ কথা বলেন।
সিপিএ সেক্রেটারি জেনারেল টুইগ বলেন, ‘জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় বাংলাদেশ যেভাবে সফল হচ্ছে, সেখান থেকে কমনওয়েলথভুক্ত ছোট ছোট দ্বীপ রাষ্ট্রগুলো অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে পারে।’
সাক্ষাতে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘আন্তঃপার্লামেন্ট যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে সংসদ সদস্যগণ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’
এসময় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানমালায় সিপিএ’র সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার আশ্বাস প্রদান করেন স্টিফেন টুইগ।
গতকাল বুধবার এ সাক্ষাৎকালে তাঁরা গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ, দারিদ্র্য বিমোচন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন, বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের পঞ্চাশ বছর পূর্তিসহ সিপিএ’র কার্যক্রম ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
স্পিকার শিরীন শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ জলবায়ু পরিবর্তন, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণ, দারিদ্র্য বিমোচনসহ গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণে সিপিএর সঙ্গে আরও জোরালো কার্যক্রম গ্রহণ করতে চায়। এসব ইস্যুতে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সদস্যগণের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিকরণে কাজ করে যাচ্ছে।’
‘সিপিএর সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ অংশীদারিত্ব রয়েছে’ উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সাল থেকেই বাংলাদেশ সিপিএর সদস্যভুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ আগামী বছর পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে সিপিএর সঙ্গে যৌথভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে, যেখানে সিপিএভুক্ত পার্লামেন্টসমূহের স্পিকার ও সংসদসদস্যগণকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।’
শিরীন শারমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে যে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন, তা অনুসরণযোগ্য। সরকারি পর্যায়ে বাংলাদেশের এসব অর্জন থেকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো দিকনির্দেশনা পেতে পারে। এক্ষেত্রে আন্তঃপার্লামেন্ট যোগাযোগ বৃদ্ধিকরণের মাধ্যমে সংসদ সদস্যগণ ইতিবাচক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে।’
বৈঠককালে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম ও যুগ্ম সচিব এম এ কামাল বিল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।