বাইডেনের বিজয়ের প্রত্যয়ন পেছাতে সিনেটরদের শেষ চেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্রের একদল সিনেটর জানিয়েছেন, তাঁরা নির্বাচনে জো বাইডেনের বিজয়ের প্রত্যয়ন করা (সার্টিফাই) থেকে বিরত থাকবেন। নবনির্বাচিত ও পুরনো মিলে মোট ১১ জন সিনেটর জানিয়ে দিয়েছেন, ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তদন্তে কমিশন গঠন করা না হলে তাঁরা বাইডেনের জয় সার্টিফাই করবেন না। সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এমনটি জানানো হয়েছে।
টেড ক্রুজের নেতৃত্বে ওই সিনেটররা তথ্য উপাত্তবিহীন অভিযোগ নিরীক্ষার মাধ্যমে বাইডেনের জয়ের প্রত্যয়ন প্রক্রিয়া ১০ দিন পিছিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু এতে ভোটের ফল বদলানোর সুযোগ তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। কারণ এই ১১ জন বাদে বাকি সিনেটররা ৬ জানুয়ারি ভোট সার্টিফাই করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এক বিবৃতিতে ১১ জন সিনেটর বলেছেন, ‘নভেম্বরের নির্বাচন নিয়ে অভূতপূর্ব জাল ভোটার, নির্বাচনি আইন প্রয়োগের ঘাটতি এবং অন্যান্য অনিয়ম ঘটেছে।’
এবারের নির্বাচন প্রসঙ্গে ১৮৭৭ সালের উদাহরণ টানা হয়েছে। সেবার নির্বাচনে তিনটি অঙ্গরাজ্যে উভয় দলই জয়ী দাবি করেছিল। এমন পরিপ্রেক্ষিতে ওই তিন অঙ্গরাজ্যের ভোটের ফলাফল ১০ দিনে নিরীক্ষা করতে কমিশন গঠনের আবেদন জানানো হয়।
অন্যদিকে, আলাদাভাবে মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সিনেটর জোস হাউলি জানিয়েছেন, ভোটের একনিষ্ঠতা প্রশ্নের সুরাহা না হলে তিনি ইলেকটোরাল কলেজ ভোটের ফল বর্জন করবেন। নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের অন্তত ১৪০ জন সদস্য এই ভোট প্রত্যয়ন করা থেকে বিরত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
এদিকে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট জালিয়াতির কথা বলে পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছেন। যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি আদালত এরই মধ্যে তাঁর সব আইনি চেষ্টা নাকচ করে দিয়েছে।
দেশটির ইলেকটোরাল কলেজ ভোটেও ৩০৬ ভোট নিয়ে ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে রয়েছেন জো বাইডেন। ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট।
অন্যদিকে, ৬ জানুয়ারি মার্কিন কংগ্রেসে ভোট প্রত্যয়নের পর ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণের কথা রয়েছে।