বালি জি-২০ সম্মেলন : সমস্যার সমাধান হবে কি?
ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের কথা যখন চিন্তা করা হয় তখন এর সূর্য, নৈসর্গিক নিরবতা আর পাম গাছ ও আনারসের কারণে এক টুকরো স্বর্গের প্রতিচ্ছবিই সবাইকে মনে করিয়ে দেয়।
তবে এই সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার এই দ্বীপটি আয়োজক হতে যাচ্ছে গ্রুপ-২০ জাতির সবচেয়ে ক্লান্তিকর টানাপোড়েনের সম্মেলন সংস্করণের। বার্ষিক এই সম্মেলনে যোগ দিচ্ছে ১৯টি সমৃদ্ধ ও অগ্রসর অর্থনীতির দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যার সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৯৯ সালের এশিয়ার অর্থনৈতিক সঙ্কটের পর। আর এটিই হয়ে ওঠেছে ভবিষ্যত সঙ্কট সমাধানে সুপার পাওয়ারদের ক্লাব। খবর বিবিসির।
এবার এই সম্মেলনে আছে বিস্তর আলোচনার বিষয়বস্তু। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চীন-মার্কিন উত্তেজনা, বাড়তে থাকা মুদ্রাস্ফিতি, বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দার হুমকি, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকি এবং সবচেয়ে আশঙ্কার বিষয় ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক তাপমাত্রা।
এদিকে এতো আলোচ্যসূচির মাঝে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে এইসব সমস্যা সমাধানে জি-২০’র সবচেয়ে ক্লান্তিকর সম্মেলনে বেশ উদ্যোগী ভূমিকা নেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের নেতা শি জিনপিং সোমবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন। বিশ্বের প্রধান দুই অর্থনীতির সংঘাতে উইদোদো কিছুটা হলেও উৎকন্ঠায় আছেন। তবে জাকার্তায় এক বিশেষ সাক্ষাতকারে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘সংলাপ ছাড়া শান্তি আসতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘যদি প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং প্রেসিডেন্ট বাইডেন আলোচনায় বসেন তবে তা সারা বিশ্বের জন্যই ভালো হবে, বিশেষ করে যদি তারা বিশ্বকে সঙ্কট থেকে উত্তরণে কোনো চুক্তিতে আসতে পারেন।’
জোকো উইদোদোর ভাষায় আরেকটি প্রধান সঙ্কট হচ্ছে খাদ্য নিরাপত্তার ইস্যু যা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে তৈরি হয়েছে। এ বিষয়ে রাশিয়ার আগ্রাসনকে তিনি একটি মাথাব্যথা হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। তিনি মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আলোচনা করে এই সমস্যা থেকে বিশ্ববাসীকে একটি সমাধান এনে দিতে পারেন।
তবে এখন পর্ন্ত জানা গেছে রাশিয়ার নেতা জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিতে বালি আসছেন না, তবে জেলেনস্কি ভার্চুয়ালি এই সম্মেলনে অংশ নিতে পারেন।