বিদেশ থেকে পুতিনের মলমূত্রও স্যুটকেসে করে ফেরত আনা হয় : রিপোর্ট
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের স্বাস্থ্য নিয়ে জল্পনার শেষ নেই। এরই মধ্যে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে—দেশের বাইরে গেলে পুতিনের মলমূত্র সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন রুশ প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষীরা।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, পুতিনের দেহরক্ষীদের কাছে একটি স্যুটকেসের মতো থাকে। মস্কোর বাইরে কোথাও গেলে সে স্যুটকেসেই সংগ্রহ করা হয় পুতিনের মলমূত্র; তা দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। সেজন্য দেহরক্ষীদের বিশেষ দলও আছে।
ফরাসি ম্যাগাজিন প্যারিস ম্যাচে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিদেশ সফরের সময় পুতিনের সঙ্গে শৌচাগারে যান রুশ ফেডারেল প্রোটেকশন সার্ভিসের (এফপিএস) ছয়-সাত জন সদস্য। বিশেষ স্যুটকেসে মলমূত্র সংগ্রহ করে রাশিয়ায় ফিরিয়ে আনেন।
সে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এরই মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ব্রিটিশ এক সাংবাদিক সে ভিডিওটি টুইট করেছেন। তাতে দাবি করা হয়েছে, দরজার সামনে দুজন দাঁড়িয়ে আছেন। শৌচাগার (তেমনটাই দাবি করেছেন ওই সাংবাদিক) থেকে দুজন বেরিয়ে আসছেন। একজনের হাতে একটি স্যুটকেস আছে। তারপর আরও একজন দেহরক্ষী আসছেন। পেছনে আসছেন পুতিন। একেবারে শেষে বেরিয়ে আসছেন আরও দুজন দেহরক্ষী।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেহের রেচনপদার্থ থেকে যাতে তাঁর স্বাস্থ্যের বিষয়ে কেউ জানতে না পারেন, সেজন্যই এমন কাজ করেন পুতিন। শরীর যে ক্রমেই খারাপ হচ্ছে, তা লুকাতেই পুতিন সে কাজ করেন বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
রুশ এক কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ৬৯ বছরের পুতিনের ক্যানসার আছে। চোখের দৃষ্টিশক্তিও কমে গেছে বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘তিনি (পুতিন) দুই থেকে তিন বছরের বেশি বাঁচবেন না।’
ফক্স নিউজ ডিজিটালে রেবেকা কফলার নামের এক সাবেক গুপ্তচর দাবি করেছেন, ‘অন্য দেশের গোয়েন্দা সংস্থার হাতে তাঁর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য চলে যাবে বলে এমন আশঙ্কায় ভোগেন পুতিন।’ সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুতিন একটি ধারণা তৈরি করতে যান যে, তিনি অনির্দিষ্টকালের জন্য রাশিয়াকে শাসন করবেন।’
তবে, ছয়-সাত জন নিয়ে পুতিনের শৌচাগারে যাওয়ার যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে, তার সত্যতা যাচাই করতে পারেনি হিন্দুস্তান টাইমস।