বিশ্বে করোনায় বেড়েছে প্রাণহানি, কমেছে শনাক্ত
বিশ্বে নভেল করোনাভাইরাসে নতুন করে শনাক্ত হলেন আরও ১২ লাখ মানুষ। একই সময়ে ছয় হাজারের বেশি হয়েছে মৃত্যু। সে হিসেবে নতুন শনাক্ত কমলেও বেড়েছে মৃত্যু। শেষ ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ সংক্রমণ ও প্রাণহানি হয়েছে রাশিয়ায়। মৃত্যুর দিক দিয়ে রাশিয়ার পাশাপাশি আছে ব্রাজিল, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, ভারতের নাম।
আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা ৫০ মিনিটে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস বলছে—বিশ্বব্যাপী করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ কোটি ৬৩ লাখ ৮৯ হাজার ৫৮। অন্যদিকে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৯ লাখ ৯ হাজার ১৮৪। এ সময় পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন মোট ৩৫ কোটি ৩৩ লাখ ১৭ হাজার ৮১৬ জন।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা বিশ্বে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছয় হাজার ১৬৩ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় এক হাজার। একই সময়ের মধ্যে ভাইরাসটিতে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৪৭ হাজার ৭৮৯ জন। অর্থাৎ আগের দিনের তুলনায় নতুন শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমেছে প্রায় ৩২ হাজার।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৩৫ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন এক লাখ ৫২ হাজার ৩৩৭ জন।
লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল করোনায় আক্রান্তের দিক থেকে তৃতীয় ও মৃত্যুর সংখ্যায় তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৩৩৩ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪২ হাজার ৩৭৯ জন। অপরদিকে মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ২ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার ৫৯১ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৬ লাখ ৪৪ হাজার ৬৯৫ জনের।
করোনায় আক্রান্তের তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। তবে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যার তালিকায় দেশটির অবস্থান তৃতীয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৩০ জন এবং নতুন করে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১১ হাজার ৫৪২ জন।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। একই বছরের ২০ জানুয়ারি বিশ্বজুড়ে জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পরের বছর ২০২০ সালের ১১ মার্চ করোনাকে ‘বৈশ্বিক মহামারি’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।