বিশ্বে করোনায় সাড়ে ১৭ লাখের বেশি শনাক্ত
বিশ্বে এক দিনের ব্যবধানে নভেল করোনাভাইরাসে শনাক্ত ও মৃত্যু কমেছে। গত তিন দিন শনাক্ত ও মৃত্যুর হার ছিল ঊর্ধ্বমুখী। শেষ ২৪ ঘণ্টায় এ রোগে শনাক্তের সংখ্যা ১৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৫ জন। এ সময়ে মারা গেছে নয় হাজার ৫০৯ জন। আর, নতুন করে সুস্থ হয়েছে ২২ লাখ ৩৮ হাজার ৪২৮ জন। এর আগের ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৯ জন। এ সময়ে মৃত্যু হয় ১০ হাজার ৫৫৬ জনের। সেদিন কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হয় ২৪ লাখ ৯৬ হাজার ৩৭৬ জন।
এর আগের দিন গত বুধবার করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৪৩৪ এবং মৃত্যু ছিল আট হাজার ৬৫৭। তার আগের দিন মঙ্গলবার শনাক্ত হয় ১৫ লাখ ৩৬ হাজার ৯০০ এবং মৃত্যু ছিল সাত হাজার ৮১৫।
আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ৩মিনিটে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস শনাক্ত, মৃত্যু ও সুস্থতার হিসাব রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস থেকে এ তথ্য জানা যায়।
ওয়ার্ল্ডোমিটারস বলছে, শেষ ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি মৃত্যু দেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। এর পরেই রয়েছে ব্রাজিল, রাশিয়া, মেক্সিকো, পোল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া ও ভারতের নাম। এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে এক হাজার ৮২৩ জনের মৃত্যু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল দুই হাজার ৪৪০ জন।
এ ছাড়া শেষ ২৪ ঘণ্টায় ব্রাজিলে গতকালের তুলনায় মৃত্যু বেশি হয়েছে। আজ শুক্রবার মৃত্যুর সংখ্যা ৯৫৬ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯৬।
এদিন রাশিয়ায় ৭৬২, মেক্সিকো ৪৪৯, পোল্যান্ড ৩৪১, ইন্দোনেশিয়া ৩১৭ এবং ভারত ৩০৪ জনের মৃত্যু দেখেছে।
যদিও এ সময়ে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছে জার্মানিতে। যদিও তা গতকালের তুলনায় কিছুটা কম। আজকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশটিতে শেষ ২৪ ঘণ্টায় দুই লাখ ১৮ হাজার ৪৩১ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। গতকাল শনাক্তের সংখ্যা ছিল দুই লাখ ১৯ হাজার ৮৫৯।
দৈনিক শনাক্তের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা দক্ষিণ কোরিয়ায় শনাক্তের সংখ্যা এক লাখ ৭০ হাজার ছয়। গতকাল দেশটিতে শনাক্তের সংখ্যা ছিল এক লাখ ৭১ হাজার ৪৪৮।
শেষ ২৪ ঘণ্টায় রাশিয়ায় শনাক্ত হয়েছে এক লাখ ৩২ হাজার ৯৯৮। বাকি দেশগুলোতে শনাক্তের সংখ্যা লাখের নিচে। ব্রাজিলে ৯৫ হাজার ৪৯৩ জন শনাক্ত হয়েছে। এদিন বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারতে শনাক্তের সংখ্যা কমেছে। শনাক্ত হয়েছে ১২ হাজার ৪০৬ জন, আগের দিন যা ছিল ১৩ হাজার ৪৭৬।
বিশ্বে এ পর্যন্ত নভেল করোনাভাইরাসে শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৩ কোটি ১৬ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৭, মারা গেছে ৫৯ লাখ ৪৬ হাজার ৮৪৫ জন। আর, সুস্থ হয়েছে ৩৬ কোটি সাত লাখ ৩২ হাজার ৮৩৭ জন।